অ্যাকান্থসিস-নিগ্রীকানস, ত্বকের একটি অবস্থা, যেখানে নারীরা ত্বকের নির্দিষ্ট একটি অংশের কালচে রঙের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। এটি ত্বকের হাইপার পিগমেন্টেশন হিসাবেও পরিচিত।
তাই গলা ও ঘাড়ের জন্য, কখনোই হঠাৎ ফর্সা করে দেয়ার বাজারের ক্যামিকেল পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এর জন্য বরং ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোর সাহায্য নিতে পারেন। যা সহজেই গলা ও ঘাড়ের কালচে ত্বকের রং উজ্জ্বল করবে।
তাহলে আসুন জেনে নিই কী সেই ঘরোয়া উপাদান যার সাহায্যে সহজেই আপনি গলা-ঘাড়ের কালচে দাগ দূর করতে পারবেন?
শসা : শসা গলা ও ঘাড়ের ত্বক থেকে কালচে আভা দূর করে দেয়। এরফলে, এটি আপনার ত্বকে চমৎকার একটি উজ্জ্বলতা এনে দেয়। শসাকে ঘষে নিয়ে, খানিকটা রস বের করে নিন। এবার গলা ও ঘাড়ে এই রসটা মেখে নিন ও ত্বকে ভালভাবে শুষে নিতে দিন। ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
দই : দই আপনার গলার চারপাশের অংশটিকে পরিষ্কার করতে ও ত্বকের থেকে টক্সিন পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। কালচে জায়গাগুলোতে সরাসরি কিছুটা দই লাগিয়ে দিন ও কিছু সময়ের জন্য এভাবেই রেখে দিন। পরে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
আমন্ড : এক চামচ মধু ও এক চামচ দুধের সঙ্গে, আমন্ড (কাঠবাদাম) গুঁড়ো মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। গলা ও ঘাড়ের অংশে এই পেস্টটিকে মেখে কিছুক্ষণের জন্য অপেক্ষা করুন। কিছুসময় পরে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ওটস এবং টমেটো : এক কাপ ওটসগুঁড়ো করে নিন ও একটি টমেটো বেটে নিন। এবার এ দুটি ভাল করে মিশিয়ে একটি পেস্ট বনিয়ে নিন। গলা ও ঘাড়ে মেখে ভাল করে মাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে, ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
বেকিং সোডা : শরীরের ত্বকের মৃত কোষ তুলে ফেলতে, বেকিং সোডা একটি খুব ভাল এক্সফলিয়েটর (exfoliator)। বেকিং সোডা ও জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবার আপনার ত্বকের কালচে অংশগুলিতে এই পেস্টটিকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এবার গোলাপজল দিয়ে ত্বক ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
ঘাড় ও হলার কালচে দাগ কোনও ইনফেকশন বা সংক্রমণ নয়। তবে অস্বাভাবিক দাগ-ছোপ দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নেবেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.