আর একটি জয় চাই অ্যান্ডি মারের। আর তাতেই টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়ের তকমা পাবেন তিনি। প্যারিস মাস্টার্স টেনিসে নোভাক জকোভিচের বিস্ময়কর হারের পর মারের পথটা পরিষ্কার হয়ে যায়। স্কটিশ মারেও এদিন হারান চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস বার্ডিচকে। শীর্ষস্থান ধরে রাখতে হলে জকোভিচকে এ আসরের ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে হতো। কিন্তু শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি হেরে যান মারিন সিলিচের কাছে ৬-৪, ৭-৬(৭-২)এ। আর দ্বিতীয় বাছাই অ্যান্ডি মারে ৭-৬, (১১-৯), ৭-৫এ জিতে সেমিফাইনালে ঊঠেছেন। শনিবার রাতের সেমিফাইনালে তিনি কানাডার মাইলস রাওনিচকে হারাতে পারলেই প্রথমবারের মতো বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় হবেন মারে। বার্ডিচের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা ছয় বার জিতলেন মারে। যদি মারে ফাইনালে উঠতে পারেন তবে প্রথমবার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠা খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি হবেন দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ। তার বয়স এখন ২৯। আর এর আগে ১৯৭৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার জন নিউকম্বে যখন প্রথম এক নম্বর হন তখন তার বয়স ছিল ৩০ বছর। এছাড়া তিনি হবেন দুই থেকে এক নম্বরে ওঠার মাঝখানে সবচেয়ে বেশি সময় অবস্থানকারী। মারে প্রথম র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে ওঠেন ২০০৯ সালে। চতুর্থ বাছাই রাওনিচ ১১তম বাছাই ফ্রান্সের উইলফ্রেড সোঙ্গাকে হারান। জুলাইয়ের উইম্বলডন টেনিসের ফাইনালেও মারের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাওনিচ। সেবার তাকে টানা সপ্তমবারের মতো হারান মারে। অপর সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার সিলিচ খেলবেন আমেরিকান জন ইসনারের বিপক্ষে। মারের প্রশংসায় জকোভিচ
সার্বিয়ান তারকা জকোভিচ গত ১২২ সপ্তাহ ধরে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর স্থান দখল করে আছেন। গত জুনেই ফরাসি ওপেটনের ফাইনালে তিনি হারান মারেকে। আর এখন সেই মারে জকোভিচকে স্থানচ্যুত করতে যাচ্ছেন। আগের ১৪ খেলাতেই সিলিচকে হারানো জকোভিচ গতকাল বলেন, মারে অবশ্যই এক নম্বর হওয়ার যোগ্য। গত ১২ মাস সে দারুণভাবে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছে। আমরা একে অপরকে অনেক আগে থেকেই চিনি। সম্ভবত যখন আমাদের বয়স ১১ তখন পরস্পরের বিপক্ষে খেলি। সন্দেহাতিতভাবেই সে যা করেছে তার প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে।’ ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেনিসে র্যাঙ্কিং পদ্ধতি প্রবর্তনের পর মাত্র ২৫ জন এক নম্বর স্থানে উঠতে পেরেছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.