সাম্প্রদায়িক হামলা এবং ধর্ম সন্ত্রাস যারা পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে একের পর এক বাংলাদেশে এবং সারা বিশ্বে তারা কারা ? কেন করছে , কি ফায়দা তারা লুটছে ? হয়তো অনেক জটিল এবং কঠিন প্রশ্ন এটা। কিন্তু এটা পরিষ্কার, সাধারন মানুষের ধর্মীয় পরিচয়কে ম্যানিপুলেট করে পুরো বাংলাদেশকে আজকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ীরা এবং রাজনীতিবিদরা, সেই সাথে কিছু স্বার্থানেষী মৌলবাদী মানসিকতার লোকেরা, আর স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিরাতো বেঁচে আছে বহাল তবিয়তে আজও। ধর্ম সন্ত্রাস করাই এদের জীবনের মূলধন।
চারিদিকে বাড়ছে ধর্মীয় উন্মাদনা আর নীরবতার সংস্কৃতি । আর এই নীরবতাই বাড়াচ্ছে আমাদের অন্ধকার আর সামাজিক দ্বন্দ্ব । আমাদের সকলের নীরবতা শরৎচন্দ্রের সেই কথাটা মনে করিয়ে দেয় ,” মানুষের মরণ দেখে আমি ভয় পাই না, ভয় পাই মনুষ্যত্বের মরণ দেখে।” আর নীরব নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকা নয়। আসুন সর্বস্ব দিয়ে সাধ্যমত প্রতিবাদ করি যার যার অবস্থান হতে।
প্রবাসের বাঙালীদের মনে করবার কোনো কারণ নেই আমরা ভালো অবস্থানে আছি তাই চোখ বুজে নীরব থাকি। সাম্প্রদায়িকতার আগুন আমাদের প্রবাস জীবনকেও পুড়িয়ে তছনছ করে দেবে, শুধু সময়ের অপেক্ষা।
পরিবার এবং কমিউনিটির ভূমিকা কি হতে পারে এদের প্রতিহত করতে ? আসুন আলোচনা করি সকলে মিলে। আসুন সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি সচেতনতা এবং জনমত তৈরির মাধ্যমে। সাস্কাটুন সার্বজনীন পূজা পরিষদ একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এর আয়োজন করেছে ২০১৪ সালের মতো আবারো । সম্মানিত কমিউনিটি সদস্যরা এতে অনেকেই অংশগ্রহণ করেছিলেন গতবছর । আমি একজন কমিউনিটি সদস্য হিসেবে সকলকে আগামীকাল সিটি হল এ চলে আসবার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি সকাল ১১ টায় , আমরা আবারো সবাই একসাথে হবো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়বার স্বপ্ন নিয়ে এবং দেশের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের পাশে থাকবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
জেবুন্নেসা চপলা
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়বার স্বপ্নের যোদ্ধা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.