সারা বিশ্বের নজর এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। সেখানে নির্বাচনী ‘মহারণে’ দুই প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও ডনাল্ড ট্রাম্প। ‘কেউ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’। বিশ্বের মহা পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রে এক অদ্ভুত ও বিরল নির্বাচন হচ্ছে আজ। একই সঙ্গে রচিত হতে যাচ্ছে নতুন ইতিহাস। যদি হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়। তিনি হবেন বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কোনো নারী প্রেসিডেন্ট। আর যদি ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে তিনি হবেন প্রথম রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী প্রেসিডেন্ট। এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এশিয়ার মতো প্রার্থীতে প্রার্থীতে কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ শানিয়েছেন একে অন্যকে। এক এক করে তিনটি প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক হয়েছে। তাতে তারা দেশকে কোনদিকে পরিচালিত করবেন, কি হবে পররাষ্ট্রনীতি, কি হবে নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা- এসব বিষয়ের ওপর জোর দেয়ার চেয়ে পরচর্চায় সময় খরচ করেছেন বেশি। এক বিতর্কে তো ট্রাম্পকে নারীবিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করে বসেন হিলারি ক্লিনটন। প্রথম টিভি বিতর্কে ট্রাম্পকে ঘায়েল করেন তিনি। অভিযোগ করেন, ১৯৯৬ সালে মিস ইউনিভার্স বিজয়ী অ্যালিসিয়া ম্যাচাডোকে ‘মিস পিগি’ ‘মিস হাউজকিপিং’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি নারীদের সম্মান দেন না। এমনিতরো বিতর্কের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, তার চেয়ে নারীদের কেউ বেশি সম্মান দিতে পারেন না। যদিও তিনি অন্য এক বিতর্কে হিলারি ক্লিনটন বক্তব্য রাখার সময়ে তাকে ‘ন্যাস্টি ওমেন’ বা বাজে নারী আখ্যায়িত করেন। নারীদের ট্রাম্প এমনই মর্যাদা দেন যে, তিনি হিলারিকে সরাসরি হুমকি দেন তার বিরুদ্ধে বিচার করে তাকে জেলে নেয়ার। হিলারি ক্লিনটন এবার সবচেয়ে বাজে অবস্থার শিকার হন ই-মেইল কেলেঙ্কারি। এছাড়া তার স্বামী, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের অন্য নারীতে আসক্তির অভিযোগ তুলে ট্রাম্প তাকে যতটা ঘায়েল করার চেষ্টা করেছেন তাতে হিলারির গায়ে ততটা ঘা হয়নি। কারণ, সেসব আগেই আদালতে নিষ্পত্তি হওয়া ইস্যু। উল্টো ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগগুলো সামনে এসেছে তা নজিরবিহীন। কমপক্ষে ১১ জন নারী এমন অভিযোগ এনেছেন তার বিরুদ্ধে। বিশেষ করে ২০০৫ সালের একটি অডিও-ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের দল রিপাবলিকানদের মধ্যেই বিভক্তি দেখা দেয়। এতে তিনি নিজের মুখে স্বীকার করেন একজন বিবাহিত নারীর সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্ক গড়ার জন্য বেপরোয়াভাবে চেষ্টা করেছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন। তিনি নারীদের প্রতি লালায়িত এমনটা তার কথায়ই স্পষ্ট হয়। তিনি সহাস্যে বলতে থাকেন, সুন্দরী নারী দেখলে আমি আর থাকতে পারি না। তখনই তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেই। এখানে ওই নারীর সম্মতি লাভের তোয়াক্কা তিনি করেন না- এমনটাই ফুটে ওঠে। এছাড়া তিনি বলেন, যদি আপনি একবার তারকা হয়ে ওঠেন তাহলে নারীদের নিয়ে আপনি যা খুশি তাই করতে পারেন। আঁকড়ে ধরতে পারেন তার …(শ্রবণ অযোগ্য শব্দ)। অন্য এক অডিওতে তাকে নিজের মেয়ে ইভানাকে নিয়ে, তার শারীরিক গড়ন নিয়ে, বিশেষ করে স্পর্শকাতর অঙ্গ নিয়ে আলোচনা করতে শোনা যায়। এসব কারণে ট্রাম্পবিরোধী ঝড় যখন রিপাবলিকান শিবিরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছিল, তাকে প্রার্থিতা থেকে বাদ দেয়ার দাবি ওঠে, তখন তিনি ক্ষমা চান। তার এসব মন্তব্যকে তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ‘বয় টক’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে মেলানিয়া স্বীকার করেন, ট্রাম্প যেসব কথা বলেছেন তা অগ্রহণযোগ্য। এসব কারণে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন বিপুল সংখ্যক রিপাবলিকান নেতা। তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয় রিপাবলিকানদের মধ্যে। ক্ষোভে পড়ে লং আইল্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল প্রকাশ্যে বলে দেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন দিচ্ছেন। এরপর সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যানের টুইট সমর্থন করেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তার মধ্যে রয়েছে নিউজডে পত্রিকার সাংবাদিক রবার্ট ব্রোডস্কি। মিডিয়ায় খবর বের হয়, ট্রাম্পকে ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ। তবে নিজের স্বামী জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ ও বড় ছেলে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের মতো নন সাবেক ফার্স্টলেডি বারবারা বুশ। তিনি প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন না। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই এটা অবিশ্বাস্য। মেগান কিলিকে নিয়ে যে ব্যক্তি ভয়াবহ বাজে কথা বলতে পারে তাকে কি করে নারীরা ভোট দিতে পারেন। বারবারা বুশ সিবিএস চ্যানেলকে ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, ট্রাম্প আসলে কি বুঝাতে চেয়েছিলেন আমরা তা জানি। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত রিপাবলিকান মিট রমনি। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প যা বলে চলেছেন এবং যা করে চলেছেন আমার নাতি-পুতিদের বেলায় আমি তা এড়িয়ে যেতে পারি না। তিনি বিশ্বমোড়ল হওয়ার যোগ্য নন। তার চরিত্র ও মেজাজ তেমন নয়। এর আগে তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন না করার কারণে ক্লিভল্যান্ডে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের নৈশভোজে যোগ দেননি। শুধু তাই নয়, কমপক্ষে ১৬০ জন রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানান। আরো স্পষ্ট করে বলেছেন, তারা নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দেবেন। বিশেষ করে ২০০৫ সালের টেপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর এমন তালিকা দীর্ঘ হয়। এ তালিকায় রয়েছেন নিউ হ্যাম্পশায়ারের সিনেটর কেলি আয়োত্তি, সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের শিক্ষামন্ত্রী উইলিয়াম বেনেট, আলাবামার গভর্নর রবার্ট বেন্টলি, ওয়াশিংটনের রিপ্রেজেন্টেটিভ জাইমে হেরারা বাটলার, ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক গভর্নর আর্নল্ড সোয়ার্জেনেগার প্রমুখ। ট্রাম্পের নারী ইস্যুতে রিপাবলিকান শিবিরে যে বিভক্তি সৃষ্টি হয় তাতে তাকে বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থী বাছাই করার দাবি জোরালো হয়। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি কিছুতেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না। একপর্যায়ে তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী মাইক পেন্সের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন বিরোধ নজিরবিহীন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন অনেক নারী। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জেসিকা লিডস, মাইন্ডি ম্যাকগিলিভরে, র্যাসেল ক্রুকস, নাতাশা স্টোয়নফ, অজ্ঞাতনামা এক নারী, টেম্পল টাগার্ট, ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন, সামার জারভোস, ক্যাথি হেলার, জিল হার্থ, জেসিকা ড্রেক প্রমুখ। এর মধ্যে জেসিকা ড্রেক একজন পর্নো তারকা। তিনি অভিযোগ করেছেন নিজের শয্যাসঙ্গী করতে তাকে ১০ হাজার ডলার প্রস্তাব করেছিলেন ট্রাম্প। তাকে প্রস্তাব করেছিলেন ট্রাম্পের জেট ব্যবহারের জন্য। কিন্তু জেসিকা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। অন্যজন জেসিকা লিডসের বয়স এখন ৭৪ বছর। তিনি বসবাস করেন নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে। তিনি অভিযোগ করেছেন, কানেকটিকাট থেকে নিউ ইয়র্কে যাওয়ার সময় একটি ফ্লাইটের ভিতরে অসংলগ্নভাবে তাকে স্পর্শ করেছিলেন ট্রাম্প। তার শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো স্পর্শ করেছিলেন তিনি। তার হাত সঞ্চরণ করেছিল জেসিকার স্কার্টের ভিতরে। এ ঘটনাটি ঘটে ১৯৮০ সালের দিকে। মাইন্ডি ম্যাকলিনভর ফ্লোরিডার বাসিন্দা। সেখানে বসবাসকারী ৩৬ বছর বয়সী এই নারী বলেছেন, ১৩ বছর আগে ট্রাম্প তাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। তার সঙ্গে অসংলগ্ন আচরণ করেছিলেন। র্যাচেল ক্রুকস বলেছেন, ১১ বছর আগে ট্রাম্প তাকে জড়িয়ে ধরে তার মুখে চুমু খেয়েছিলেন। চোয়ালে চুমু খেয়েছিলেন। র্যাচেলের ভাষায়, তিনি ছিলেন ভীষণ অসংযত। এতে ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন র্যাচেল। নাতাশা স্টোইনফ বলেছেন, স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে তিনি নাতাশাকে দেয়ালের সঙ্গে ঠেসে ধরেন। নিজের জিহ্বা জোর করে ঢুকিয়ে দেন নাতাশার মুখের ভিতর। শারীরিক নির্যাতন চালান। অজ্ঞাত আরেক নারী বলেছেন, একপর্যায়ে ট্রাম্প আমাকে জোর করে চুমু দেয়া শুরু করেন। আমার ফোন নম্বর চান। যেন এক নরকে পড়েছিলাম আমি। টেম্পল টাগার্টসহ অন্য নারীদেরও একই রকম অভিযোগ। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া কোনো একজন নেতার বিরুদ্ধে এর আগে এমন অভিযোগ শোনা গেছে বলে জানা নেই। এছাড়া এবারই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ আহ্বান জানিয়েছেন রিপাবলিকান দল থেকে প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। তার এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ তিন ঘণ্টার শুনানি হয়েছে বৃটিশ পার্লামেন্টে। ওই শুনানিতে ট্রাম্পকে বৃটেনে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত পাকা হয়নি। ট্রাম্প এখানেই থেমে থাকেননি। তিনি নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় যাওয়ার প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা হবে। সেই দেয়াল নির্মাণের ব্যয়ভার বহন করতে হবে মেক্সিকোকেই। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পেনা এনরিক নিয়েটো সেই খরচ বহন করতে সম্মত হয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। কিন্তু একই সংবাদ সম্মেলনে নিয়েটো এমন সম্মতির কথা অস্বীকার করেন। অন্যদিকে এবার ডেমোক্রেট ন্যাশনাল কমিটি ও সংশ্লিষ্টদের ই-মেইল হ্যাক করার অভিযোগ আনা হয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে। বলা হয়, রাশিয়া এই হ্যাকিং করার মাধ্যমে ট্রাম্পকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করছে। এ জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ৫ বছর ধরে ট্রাম্পকে ‘কালটিভেট’ বা লালন করেছে বলে গোয়েন্দারা রিপোর্ট দিয়েছেন। এই পুতিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ডনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পকে এ নিয়ে খুঁচিয়েছেন ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তিনি ট্রাম্পকে পুতিনের হাতের পুতুল বলে আখ্যায়িত করেছেন। হিলারি অভিযোগ করেছেন, যদি ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে বিশ্বের অনেক দেশের হাতেই থাকবে পারমাণবিক অস্ত্র। এতে যুদ্ধ ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। ট্রাম্পের হাতে পারমাণনিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিরাপদ নয় বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হিলারি। সবকিছু মিলে হিলারি ক্লিনটন যখন দুই অংকের ব্যবধানে জনমতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই এফবিআইয়ের ই-মেইল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এফবিআই প্রধান জেমস কমি নির্বাচনের দুই সপ্তাহেরও কম সময় থাকতে এই বোমা ফাটান। এ ইস্যুটি তিনি এমন এক সময়ে তুলে ধরেন, যখন অতি গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেটগুলোতে আগাম ভোট শুরু হয়ে গেছে। জেমস কমি শেষ পর্যন্ত ওই ই-মেইল ইস্যুকে বুমেরাং দাবি করলেন যখন, ততক্ষণে ওইসব রাজ্যে কমপক্ষে ৪ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ফেলেছেন। এরপর রোববার রাতে জেমস কমি ঘোষণা দিলেন হিলারি নির্দোষ। টাইম ম্যাগাজিন এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.