এর আগেও ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে তাকে হারিয়ে দিতে কারচুপি করা হতে পারে। সেই একই আশঙ্কার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন রিপাবলিকান এই প্রার্থী। বলেছেন, অসৎ গণমাধ্যম চেষ্টা করছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে জিতিয়ে দেয়ার। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতেও চলছে ভোট কারচুপির প্রক্রিয়া। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের রানিং মেট মাইক পেন্স ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৮ই নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল যার পক্ষেই আসুক না কেন, রিপাবলিকানরা তা মেনে নেবে। তার এমন ঘোষণার একদিন পরই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। রোববার এক টুইটে তিনি পুনরায় তার এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘অসৎ ও বিকৃত গণমাধ্যম ‘ক্রুকেড’ হিলারিকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়ার মাধ্যমে এই নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে কারচুপি করছে। শুধু তাই নয়, কারচুপি হচ্ছে অনেক ভোট কেন্দ্রেও। দুঃখজনক।’ এমন দাবির পেছনে কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করেননি ট্রাম্প। তবে জনমত জরিপে হিলারির থেকে পিছিয়ে থাকা ট্রাম্পের নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এই প্রথম নয়। তবে বিভিন্ন রাজ্যে আগাম ভোট ও মেইলের মাধ্যমে ভোটদান শুরু হয়ে যাওয়ায় তার এমন প্রশ্ন নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রোববারই অন্য আরেক টুইটে ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলাইনাতে রিপাবলিকান দলের সদর দপ্তরে চালানো হামলার জন্য দায়ী করেছেন ওই রাজ্যের ডেমোক্রেট ও ‘হিলারি ক্লিনটনের প্রতিনিধিত্ব করা পশুদের’। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিলসবরোর ওই ভবনে হামলা চালানো হয়েছে সামনের জানালা দিয়ে। ওই ভবনে ছুড়ে দেয়া হয়েছে দাহ্য পদার্থ এবং পাশের ভবনে এঁকে দেয়া হয়েছে স্বস্তিকা চিহ্ন। আর সঙ্গে লেখা ছিল, ‘এই শহর ও অন্য জায়গা থেকেও সরে যাও নাজি রিপাবলিকানরা।’ ট্রাম্প তার টুইটে লিখেছেন, ‘নর্থ ক্যারোলাইনাতে হিলারি ক্লিনটন ও ডেমোক্রেটদের প্রতিনিধিত্ব করা পশুরা মাত্রই অরেঞ্জ কাউন্টিতে আমাদের অফিসে আগুনবোমা দিয়ে হামলা চালিয়েছে। কারণ আমরা জিতেছি।’ হিলারি ক্লিনটন নিজেও অবশ্য ওই ‘ভয়াবহ ও অগ্রহণযোগ্য’ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ওই হামলায় কোনো হতাহত না হওয়ায় স্বস্তি জানিয়েছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.