পশ্চিমাদের ওপর হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এমন আশঙ্কা যখন ক্রমশ বাড়ছে তখন ন্যাটো তার তিন লাখ সেনাকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় প্রস্তুত রেখেছে। ন্যাটো প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ এমন ব্যবস্থা নিয়েছেন। ভøাদিমির পুতিন যে নতুন করে যুদ্ধপ্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সামরিক গোয়েন্দারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বৃটেনও ভারি অস্ত্রসহ নতুন ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক গত বছরেই অবনতি হওয়া শুরু করে। বিশেষ করে রাশিয়া যখন সিরিয়ায় তার মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দেয়া শুরু করে। যেকোনো মূল্যে তারা প্রেসিডেন্ট বাশারের পক্ষে থাকার অবস্থান নেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠতে শুরু করে। ওদিকে ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বেশির ভাগ ন্যাটো সদস্য নাটকীয়ভাবে খরচ কমিয়ে আনা শুরু করে। এর ফলে প্রতি বছর মহড়ায় অংশ গ্রহণকারী সেনা সংখ্যা দাঁড়ায় এক লাখের কিছু বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মস্কো তার শক্তি প্রদর্শন শুরু করে। ২০০৮ সালে রাশিয়ান সেনারা জর্জিয়ানদের অবমাননা করে। দক্ষিণ ওসেটিয়া ও আবখাজিয়া আক্রমণ করে হোয়াইট হাউজকে দেখিয়ে দেয় তাদেও শক্তি। তারপর ২০১৪ সালে সবার চোখের ওপর আঙ্গুল দিয়ে ক্রাইমিয়া আক্রমণ করে। পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ান বিদ্রোহীদেও সমর্থন দেয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া বিশ্ব কিছুই করতে পারে নি। যুক্তরাষ্ট্রে আজ যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হচ্ছে তাতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক দা-কুমড়োয় রূপ নেয়। এরই মধ্যে সম্প্রতি পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে কালিনিনগ্রাদ এনক্লেভে রাশিয়া মোতায়েন করেছে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এর ফলে এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়ার মতো ন্যাটো সদস্য দেশগুলো ক্রমাগত হুমকি অনুভব করছে। তাই এখন সেখানে দ্রুততার সঙ্গে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। এ সপ্তাহে দ্য টাইমস’কে ন্যাটো মহাসচিব জেনারেল জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, আমরা দেখেছি রাশিয়া ন্যাটো মিত্রদের মধ্যে ইউরোপে প্রচারণা চালাচ্ছে। আর সে কারণেই ন্যাটো তার ব্যবস্থা নিচ্ছে। শীতল যুদ্ধের পর আমরা সমন্বিতভাবে প্রতিরক্ষামুলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা রাশিয়ার বাড়বাড়ন্ত নানাভাবে দেখেছি। তারা বেশ সক্রিয়। ন্যাটোয় নিয়োজিত বৃটেনের স্থায়ী প্রতিনিধি স্যার এডাম থমসন দ্য টাইমসকে বলেছেন, ৩ লাখ সেনা মোতায়েন করতে ন্যাটোর ৬ মাস সময় লাগবে। এটা একটি ধীর প্রক্রিয়া। সপ্তাহান্তে বৃটিশ সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা একটি সতর্কতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার হাতে এখন আছে ‘সুপার ট্যাঙ্ক’। এমন সক্ষমতা ন্যাটোর হাতে নেই। রাশিয়ার এমন ট্যাঙ্ককে বিপ্লব সৃষ্টিকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.