নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবেন কি না, তা নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা বলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ফক্স নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুলসংখ্যক নির্বাচনী অসংগতির কথা তিনি জানতে পেরেছেন। কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে ভোটিং মেশিন সঠিকভাবে ভোটের হিসাবে রাখছে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে, রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেওয়া হলেও মেশিনে রেকর্ড হচ্ছে ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর নামে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে এক টুইটে ট্রাম্প জানান, সিএনএন এই ভোট–অসংগতির কথা জানিয়েছে। সিএনএন অবশ্য এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, এমন কোনো তথ্য তারা প্রচার করেনি। ভোট–অসংগতির অভিযোগ এনে ট্রাম্প ক্যাম্পেইন এর আগে নেভাদার ক্লার্ক কাউন্টির নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তাদের অভিযোগ, ডেমোক্র্যাটদের সাহায্য করার লক্ষ্যে সেখানে ভোটের সময় দুই ঘণ্টা প্রলম্বিত করা হয়। তবে একজন স্থানীয় বিচারক সে মামলা আমলে না নিয়ে তা খারিজ করে দেন। কারণ, যে অভিযোগ ট্রাম্প ক্যাম্পেইন করেছেন, তা নিয়ে কাউন্টি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা কোনো কথা বলেননি।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, এ বছর আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় আফ্রিকান-মার্কিন ভোটারদের ভোট দিতে গিয়ে অনেক বেশি বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। লিডারশিপ কাউন্সিল অন সিভিল রাইটসের সভাপতি ওয়েড হেন্ডারসন বলেছেন, ‘সারা দেশেই ভোট প্রদানে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।’ ভোটারদের ভয়ভীতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে—এ অভিযোগ করেছেন লইয়ার্স কমিটি ফর সিভিল রাইটসের ক্রিস্টেন ক্লার্ক। তিনি জানিয়েছেন, তারা ইতিমধ্যে ভোটার ভীতির অভিযোগ এনে নির্বাচন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছেন। ভোট পরিচালনায় নিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে হাতাহাতির খবরও মিলেছে। ফ্লোরিডার ব্রোয়ার্ড কাউন্টিতে গোলযোগ সৃষ্টির অভিযোগে একজন রিপাবলিকান ও একজন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.