অ্যান্টিগা টেস্টটা হতে পারত বিরাট কোহলির। অধিনায়ক হিসেবে দেশের বাইরে প্রথম দ্বিশতক করার রেকর্ড গড়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে সব আলো কেড়ে নিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রথম ইনিংসে শতরানের ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতেও নিলেন সাতটি উইকেট। অশ্বিনের ঘূর্ণিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেছে মাত্র ২৩১ রানে। ভারত পেয়েছে ইনিংস ও ৯২ রানের বিশাল ব্যবধানের জয়।
ক্যারিবিয়ানে এবারই প্রথমবারের মতো ভারত জিতেছে ইনিংস ব্যবধানে। আর এশিয়ার বাইরে এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় জয়ের নতুন রেকর্ড। এর আগে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে ভারত জিতেছিল ইনিংস ও ৯০ রানের ব্যবধানে।
কোহলির দ্বিশতক ও অশ্বিনের শতকে ভর করে প্রথম ইনিংসে ভারতের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ৫৬৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল ২৪৩ রানে। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেননি উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। অশ্বিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখে এবার তাদের ইনিংস শেষ হয়েছে ২৩১ রানে।
১ উইকেটে ২১ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর পর প্রথম ওভারেই উইন্ডিজ হারিয়েছিল ড্যারেন ব্রাভোর উইকেট। ১০ রান করে ব্রাভো হয়েছিলেন উমেশ যাদবের শিকার। চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্নবিরতির পরেই শুরু হয় অশ্বিনের ঘূর্ণিজাদু। ১৯ ওভারের মধ্যেই উইন্ডিজ হারায় ছয়টি উইকেট। এর মধ্যে পাঁচটিই যায় অশ্বিনের ঝুলিতে। ১৩২ রানেই আট উইকেট হারানোর পর হার নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকদের। তবে শেষপর্যায়েও ভালো লড়াই চালিয়েছেন কার্লোস ব্রাফেট ও দেবেন্দ্র বিশু। নবম উইকেটে তাঁরা গড়েছিলেন ৯৫ রানের জুটি। তবে এই প্রতিরোধও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চা-বিরতির পর এক ওভারেই দুই উইকেট নিয়ে উইন্ডিজকে ২৩১ রানে গুটিয়ে দেন অশ্বিন।
৪৫ রান করে দলের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন বিশু। আর ৫১ রান করে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন কার্লোস ব্রাফেট। ২৫ ওভার বল করে ৮৩ রানের বিনিময়ে সাতটি উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। এর আগে প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানের ইনিংস খেলার জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে এই অলরাউন্ডারের হাতে।
৩০ জুলাই থেকে কিংসটনে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.