তথ্যপ্রযুক্তিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রহ থাকুক বা না থাকুক, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রযুক্তি নিয়ে তাঁর নীতি কি হবে, তা দেশটির প্রযুক্তি খাতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যাপারে এমন কোনো বক্তব্য কিংবা নীতির উল্লেখ ছিল না, যা সিলিকন ভ্যালির কর্তাদের কাছে টানতে পারে। ট্রাম্পের প্রযুক্তি নীতি অনেকটা এমন যেন বেয়াড়া ছাত্রগুলোকে পিটিয়ে কথা শোনাতে চান তিনি। নিজ দেশে অ্যাপলের পণ্য তৈরি করতে বাধ্য করতে চান ট্রাম্প। অ্যামাজনের পণ্য সরবরাহব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। ইন্টারনেটে নিরপেক্ষতা বা নেট নিউট্রালিটির নীতি মানতে নারাজ তিনি। তবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব যে একটা পরিষ্কার ধারণা তাঁর আছে, তা নিয়ে মাঝেমধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে অনেকের মনেই। সিলিকন ভ্যালির নেতারা শঙ্কিত বারাক ওবামার শাসনামলেই সিলিকন ভ্যালি ডিজিটাল শতকের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে। ওবামা প্রশাসনের উন্নয়নের সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন বলে কথা দিয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন। সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা তাই আস্থা রেখেছিলেন হিলারির ওপর।
৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পরে সিলিকন ভ্যালির এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘এটা দুঃস্বপ্ন।’ স্ল্যাকের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টুয়ার্ট বাটারফিল্ড বলেন, ‘আমি মর্মাহত।’ অ্যামাজন, অ্যাপল, ফেসবুক, গুগল কিংবা মাইক্রোসফটের পক্ষে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি। কিন্তু ফেসবুক সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক গত এপ্রিলে ডেভেলপার সম্মেলনে বলেছিলেন, দেয়াল তৈরির পরিবর্তে আমরা সেতু নির্মাণ করে মানুষকে সাহায্য করতে পারি। তাঁর সে কথার সুর ছিল অন্য নেতাদের মুখে। সিলিকন ভ্যালির নেতারা এখন কিছুটা শঙ্কিত। তাঁদের এই দুশ্চিন্তা আরও দীর্ঘায়িত হবে নাকি বিজয়ের পর ট্রাম্পের ভাষণে যে আশার বাণী মানুষ শুনেছে, তা প্রযুক্তি জগতেও প্রতিফলিত হবে তা সময় বলে দেবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.