তৈরি পোশাক শিল্পের মতো রপ্তানিযোগ্য পণ্যের অন্য শিল্প খাতেও কমপ্লায়েন্স (কারখানার নিরাপত্তা ও উন্নত কর্মপরিবেশ) চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিটির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান একথা জানান। এ সময় বিজিএমইএ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) মোহাম্মাদ নাসির, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ হাসান খান বাবু, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলের ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন, ইইউ সদস্য জেন লামবার্ট উপস্থিত ছিলেন । সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও শ্রমিক অধিকার বিষয়ে যেসব অগ্রগতি অর্জন করেছি, তা প্রতিনিধিদলের কাছে তুলে ধরেছি। তারা আমাদের অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তারা বলেছেন, শুধু পোশাক খাত নিয়ে কাজ করলে হবে না, অন্যান্য রপ্তানিমুখী খাতেও পোশাকশিল্পের মতো উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্প ছাড়াও রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সব শিল্পে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের শর্তগুলো বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল। যেসব শিল্প রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত তাদেরকেও কমপ্লায়েন্সের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে কারখানা সংস্কারে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের শর্তগুলো পূরণের সময়সীমা। তবে এর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালের মধ্যেই এই কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি। ইতিমধ্যেই অ্যাকর্ডভুক্ত ৭০ শতাংশেরও বেশি এবং অ্যালায়েন্সের তালিকাভুক্ত ৬০ শতাংশের বেশি কারখানায় সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন হলে ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধা থেকে নিয়ম অনুযায়ী বাদ পড়তে হবে। তবে সেক্ষেত্রে জিএসপি প্লাস সুবিধার অধিভুক্ত হতে কিছু শর্ত পূরণের প্রসঙ্গ তারা তুলেছেন। এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি, শ্রমিক অধিকার ও কর্মপরিবেশগত সুবিধার উন্নতি করতে জিএসপি প্লাসের জন্য যেসব শর্ত রয়েছে। বাংলাদেশ এখনই তা পূরণের দ্বারপ্রান্তে আছে। ফলে সময়মতো জিএসপি প্লাস পেতে এর শর্ত পূরণ করতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.