দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই যুদ্ধে তিনি নিজের প্রাণ যাওয়ারও আশংকা প্রকাশ করেছেন।
অথচ এই মোদিই ২৫ কোটি রুপি ঘুষ নিয়েছেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থকাকালে তিনি আদিত্য বিরলা গ্রুপের কাছ থেকে এ অর্থ ঘুষ নেন। খবর এনডিটিভি, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল নিয়ে তুঘলকিকাণ্ডের মধ্যে মঙ্গলবার দিল্লিতে একদিনের বিশেষ সংসদ অধিবেশন ডাকা হয়।
অধিবেশনে অংশ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এ ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করেন আম আদমি পার্টির নেতা ও দিল্লির মুখ্যমুন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এ সময় তিনি নোট বাতিলের কড়া সমালোচনা করে মোদিকে ‘কর্পোরেটদের বন্ধু’ বলেও আখ্যায়িত করেন।
কেজরিওয়াল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে বলেই বড় বড় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কখনও অভিযানে যায় না আয়কর বিভাগ। শুধু দুর্নীতি তাড়ানোর নামে গরিবদের ভোগান্তি বাড়ানো হচ্ছে।’
এরপরই তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, ২০১৩ সালের ১৫ অক্টোবর আদিত্য বিরলা গ্রুপের কাছ থেকে ঘুষ নেন।’
তিনি বলেন, ‘আয়কর বিভাগ সে সময়ে আদিত্য বিরলা গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সুবেন্দু অমিতাভের বাসায় অভিযান চালায়। তারা সেখান থেকে ব্লাকবেরি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার বরে তাতে তল্লাশি করে। এ সময় ল্যাপটপে ২০১২ সালের ১৬ নভেম্বর এন্ট্রি করা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে ঘুষ দেয়ার তথ্য পান।’
কেজরিওয়াল আরও বলেন, ‘এটিই স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা যে, ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর নাম কালো টাকা লেনদেনে জড়িয়েছে।’
তিনি নোট বাতিলে গরিবের দুর্ভোগ এড়াতে সরাসরি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখ্যার্জির হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
দুর্নীতি ঠেকানোর জন্য সম্প্রতি মোদি সরকার ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করেন। তবে পুরনো রুপি বদলাতে সময় বেধে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু পুরনো রুপি বদলাতে গিয়ে দেশটিতে চলছে হুলস্থূল কাণ্ড। বহু সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন। এ নিয়ে ক্ষমতাসীনরা বিরোধী রাজনৈতিক দলের তোপের মুখে পড়েছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.