মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় হোয়াইট হাউসকে হতচকিত করার পর প্রেসিডেন্ট ওবামার সামনে শুধু তার স্টাফদেরকেই নয় বরং তার ছোট মেয়েদেরকেও এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করার কাজটি চলে আসে যে, এরপরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনেক পথ আছে। নিউ ইয়র্কারের একটি বিস্তৃত প্রোফাইলে ওবামা তার দু্ই মেয়ে মালিয়া (১৮) এবং শাসাকে (১৫) ট্রাম্পের বিজয় এবং এরপরের বর্ণবাদি ঘটনাগুলো সম্পর্কে কী বলেছেন তার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। “আমি তাদেরকে যা বলি তা হলো, লোকে আসলে জটিল। সমাজ এবং সংস্কৃতি সত্যিই বেশ জটিল। এটা কোনো গণিত নয়; এটা জীববিজ্ঞান এবং রসায়ন”, নিউইয়র্কারের ডেভিড রেমনিককে এমনটাই বলেছেন ওবামা। ওবামা বলেন, “এগুলো হলো জীবন্ত। আর এটা অগোছালোও বটে। আপনার কাজটি হলো, একজন ভদ্র মানুষ হিসেবে লোকের সঙ্গে দয়া, সম্মান ও বুঝের সঙ্গে আচরণ করার বিষয়টি ক্রমাগত নিশ্চিত করা ও তুলে ধরা এবং এর জন্য লড়াই করা।” ট্রাম্পের বিজয়ের পর কয়েক ডজন বর্ণবাদি হামলার ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হয় এর অনেকগুলো হামলাই চালিয়েছেন ট্রাম্পের সমর্থকরা। অভিবাসী, মুসলিম, লাতিন এবং আফ্রিকান আমেরিকানদের ওপর এই হামলাগুলো চালানো হয়। অ্যান্টি সেমেটিক এবং ট্রাম্পের পক্ষেও ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি শহরজুড়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজন রিয়েল এস্টেট নির্বাহীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ফলে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী এবং চরম ডানপন্থীদের শক্তি বেড়েছে। এরা কায়েমি রক্ষণশীলতাকে প্রত্যাখ্যান করে অনলাইনে নিজেদের চরম ডানপন্থী আদর্শ প্রচার করছে। ঘৃণা নজরদারি গ্রুপ সাউদার্ন পোভার্টি ল সেন্টারের হিসেব মতে, নির্বাচনের দিন থেকে শুরু করে ৭০০টি বর্ণবাদি হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে। ওবামা তার দুই কিশোরী মেয়েকেও বলেছেন, তাদেরকেও এই ধরনের বর্ণবাদি ঘৃণার শিকার হওয়ার বিষয়টি প্রত্যাশা করতে হবে।
ওবামা বলেন, “যে কোনো সময়ই গোঁড়ামির আগুন জ্বলে উঠতে পারে যা তোমাদেরকেও মুখোমুখি মোকাবিলা করতে হতে পারে। অথবা তোমাদের ভেতরে তোমাদের নিজেদেরকে দমণ করতে হবে। আর এটা থামে না। তোমাদেরকে এ ব্যাপারে কোনো চরম অবস্থানে যেতে হবে না।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.