ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন ২৪ বছর বয়সী যুবতী শিক্ষিকা আলেক্সান্দ্রিয়া ভেরা। তাদের এ সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর প্রতিদিন শরীর বিনিময় হয়েছে। আর এ কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই শিক্ষিকা। ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি ওঠে আদালতে। এ অভিযোগে ওই শিক্ষিকার এখন ৩০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। সেখানে হাউজটনে স্টোভাল মিডল স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা ভেরা। ২০১৫ সালে তার নজর পড়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক বালকের দিকে। তিনি ওই ছাত্রের ফোন নম্বর যোগাড় করেন। তাকে দিয়ে দেন নিজের ফোন নম্বরও। এক পর্যায়ে ওই বালকের বাসায় যাওয়া-আসা করতে থাকেন ভেরা। তাকে নিজের গাড়িতে তুলে নেন। ঘুরতে থাকেন বিভিন্ন স্থানে। এ সময়ই প্রথম তিনি ওই বালককে চুমু দেন। এর পরের দিন তিনি আবার ছুটে যান ওই বালকের বাসায়। সেদিন বালকটির পিতামাতা বাসায় ছিলেন না। এ ফাঁকে তার সঙ্গে প্রথমবারের মতো শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এভাবেই বালকটিকে তিনি তার শরীরের ফাঁদে ফেলেন। তারপর থেকে প্রতিদিন মাত্র ১৩ বছর বয়সী ওই বালককে শয্যাসঙ্গি করেন ওই শিক্ষিকা। পুলিশ বলছে এভাবে তাদের সম্পর্ক গড়ায় ৯ মাস ধরে। তবে আলেক্সান্দ্রিয়া ভেরার দাবি ওই বালক ও তিনি প্রেমে মজেছিলেন। তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল ভালবাসা। তিনি অলডাইন ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্ট পুলিশকে বলেছেন, তাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠার কারণে প্রতিদিন তারা শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হতেন। এরপর ওই বালক তার বাসায় ঘুমিয়ে পড়তো। ঘুম থেকে জাগলে তাকে তার বাসায় পৌঁছে দিতেন ভেরা, যাতে পরের দিন সে স্কুলের বাস ধরতে পারে। তবে ঘটনা প্রকাশ পায় এ বছর জানুয়ারিতে। তখন ভেরা বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। আদালতে দাখিল করা তথ্যপ্রমাণে দাবি করা হয়েছে, তাদের এ সম্পর্ককে সমর্থন দিয়েছেন ওই বালকের পিতামাতা। ঘটনা জানাজানি হলে ভেরা তার গর্ভস্থ সন্তানকে গর্ভপাতের মাধ্যমে নষ্ট করে দেন। তবে শুরুতে ভেরা কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু পুলিশ অনুসন্ধানে তাদের সম্পর্কের কথা আবিস্কার করেছে। এখন সে প্রমাণকে অস্বীকার করার মতো অবস্থা নেই ভেরার। আগামী জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে রায় দেবে আদালত। এতে তার ৩০ বছরের জেল হতে পারে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.