এক বান্ধবীকে পছন্দ করা নিয়েই ময়মনসিংহের স্কুলছাত্র রাশিদুজ্জামান লিয়ন খুন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। ময়মনসিংহ শহরের কেওয়াটখালী রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নবম শ্রেণির ওই ছাত্র সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়।
নিহত লিয়ন শহরের বলাশপুর এলাকার নানির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। তার গ্রামের বাড়ি নান্দাইল উপজেলার ভেলামারি গ্রামে।
লিয়নের বাবা মো. আক্তারুজ্জামান থাকেন মালয়েশিয়ায়। মা কেওয়াটখালী হর্টিকালচার সেন্টারে চাকরি করেন। লিয়ন খুনের ঘটনায় পালিয়ে যাওয়ার পথে ত্রিশাল উপজেলার ঝিলকি নামক স্থান থেকে বিকেলে সাকিব নামে তার এক সহপাঠীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে লিয়ন অন্য বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় স্কুলের পাশের বাসিন্দা মো. কামালের ছেলে নাইম (১৫) ও দুই সহপাঠী বন্ধুর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে লিমনের পিঠের বাঁ দিকে আকস্মিক আঘাত করে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ওসি জানান, পরে স্থানীয় লোকজন ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় সে।
লিয়নের এক সহপাঠীর ভাষ্য, নাইম নবম শ্রেণির মানবিক শাখার এক মেয়েকে পছন্দ করত। ওই মেয়ের সঙ্গে লিয়নের ভালো সম্পর্ক থাকায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
ওসি কামরুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থী লিয়ন ও নাইম ওই স্কুলের মানবিক শাখার ছাত্র। একই শাখার এক ছাত্রীকে দুইজনই পছন্দ করত। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। এর জেরে বখাটে নাইমসহ তিনজন লিয়নকে ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.