প্রযোজকের করা এক কোটি টাকার মানহানির মামলা নিয়ে অনেকটা হয়রানির মাঝেই ছিলেন মডেল-অভিনেত্রী মৌনিতা খান ঈশানা। তবে সব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। গতকাল দুপুরেই মামলাটির মীমাংসা হয়েছে। শেষবারের মতো আদালতে যান ঈশানা। আদালত মামলাটি তার পক্ষে রায় দেন বলেই জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রযোজক মারুফ খানের করা শিডিউল ফাঁসানো, শুটিং সেটে অশোভন আচরণসহ তার যত অভিযোগ এনে মামলা করেছেন সবকটিই মিথ্যা বলে প্রমাণ হয়েছে। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। অনেক ভালো লাগছে এই ভেবে যে, আজ প্রায় একটি বছর মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে খুব ঝামেলার মধ্যে যাচ্ছিল। কাজ করছি ঠিকই। কিন্তু ওই প্রযোজকের করা মামলা আমাকে ও আমার পরিবারকে খুব ভুগিয়েছে। আজ সবকিছু ক্লোজ হয়েছে। আদালত থেকে বেরিয়ে মানবজমিনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ঈশানা। তিনি আরো বলেন, আজ আমি কী যে খুশি তা বলে বোঝাতে পারবো না। বিশেষত আমার বাবা আরো বেশি খুশি। তিনি আমার এ মামলাটির জন্য কি যে কষ্ট করে করেছেন সেটা আমি নিজে দেখেছি। প্রথমত শুকরিয়া আদায় করছি মহান আল্লাহতালার প্রতি। তিনি আমার সহায় ছিলেন বলেই হয়তো এত বড় একটা বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছি। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি প্রযোজক মারুফ খান প্রেম ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ঈশানার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন। ১৪১/১৬ নম্বরের ওই মামলায় ঈশানা শিডিউল ফাঁসিয়েছেন ও শুটিং সেটে প্রযোজকের অনুপস্থিতিতে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় মধ্য দিয়ে মিডিয়া ক্যারিয়ার শুরু করেন এ মডেল-অভিনেত্রী। বিজ্ঞাপনের জন্য পরিচিতিটা বেশি হলেও নাটকেই এখন বেশি সময় দিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে ঈশানা অভিনীত একাধিক ধারাবাহিক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘হাই সোসাইটি’, ‘সম্রাট’, ‘ খেলাঘর’, ‘শান্তি অধিদপ্তর’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘এক পা দু পা’। অভিনেত্রী হিসেবে সব ধরনের নাটকেই কাজ করতে হয়। তবে খণ্ড নাটক কিংবা ধারাবাহিকের মধ্যে বিশেষ পছন্দের জায়গা তো অবশ্যই আছে। সেক্ষেত্রে খণ্ড নাটকেই বেশি সাচ্ছ্বন্দ্যবোধ করেন ঈশানা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমাকে দুই ধরণের নাটকেই অভিনয় করতে হয়। আর দুই ক্ষেত্রের কাজতো একটাই। সেটা হলো অভিনয়। তাই এটাকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আমার কাছে খণ্ড নাটক হলো প্যাশন। আর ধারাবাহিক হলো পেশা। তবে খুব ভালোলাগার কথা যদি বলি, খণ্ড নাটকের কথাই বলবো। কারণ এ ধাঁচের নাটক দর্শক দেখে শেষ করতে পারেন। ত্বরিত রেসপন্স পাওয়া যায়। আর ধারাবাহিকের গল্প এক জায়গায় থাকে না। প্রথম দিকে ভালো রেসপন্স থাকলেও পরে কোথায় যেন গল্প হারিয়ে যায়। নাটকে বাজেট একটা বড় সমস্যা এ কথা সবাই জানেন। আমার মনে হয় বাজেটের কারণেই এমনটা হচ্ছে। দর্শক ধারাবাহিক নাটক এখন দেখতে চান না। গল্প ভালো হলেও দেখা যায়, তাদের গন্তব্য ভারতীয় চ্যানেলের দিকে। তাই বলে আমাদের মেকিং খারাপ হচ্ছে বা নিজেদের দুর্বলতা রয়েছে সেটা না। সবচেয়ে বড় ঘাটতি হলো বাজেট। এ সমস্যা দূর হলেই নাটকে সুদিন ফিরবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.