আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে আজ তারা বেপরোয়া চালকের মতো রাজনীতির বেপরোয়া চালক হয়ে গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করার চক্রান্ত করছে। চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গতকাল রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী মটর চালক লীগ শহীদ নূর হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, শহীদ নূর হোসেন যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, আত্ম বলিদান দিয়েছেন, সেই গণতন্ত্র স্বৈরাচার থেকে মুক্ত পেলেও বিপদ থেকে মুক্তি পায়নি। সে গণতন্ত্র স্বৈরাচার মুক্ত, কিন্তু এখনও গণতন্ত্র বিপদমুক্ত নয়। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের যে অভিযাত্রা, সে অভিযাত্রা কি ঝুঁকি মুক্ত? গণতন্ত্রের এ অভিযাত্রা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে সংহত করা, প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া। এই যাত্রা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে, এই যাত্রা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুমন্ত্রী বলেন, ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের পর পেট্রলবোমা দিয়ে গাড়ির চালক পুড়িয়ে তারা পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে দেশের গণতন্ত্রকে। আজও গণতন্ত্রকে পুড়িয়ে মারার, গণতন্ত্রকে গুলি করে হত্যা করার, গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করার চক্রান্ত চলছে। চালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে অনেকে আমার সফলতার কথা বলে, কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে আমি নিজেকে সফল মনে করি না। সড়কে দুর্ঘটনা ও যানজট দূর করতে পারিনি। এ দুটি বিষয় দৃশ্যমান ব্যর্থতা রয়েছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, আমার মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিবহন ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এই চ্যালেঞ্জে আপনাদের সহযোগিতা আমি চাই। চালকদের জন্য ট্রেনিং ইন্সটিটিউশনের কাজ চলমান রয়েছে, থেমে নেই। বেসরকারী পর্যায়ে কিছু প্রশিক্ষণ সংস্থা থাকলেও চাহিদার তুলনায় একেবারে কম। অদক্ষ চালকও দুর্ঘটনার কারণ। চালকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো বাচ্চাদের, শিশুদের ড্রাইভার বানাবেন না। যানজট আর দুর্ঘটনার জন্য দায়ী আমাদের মন-মানসিকতা। মন-মানসিকতা পরিবর্তন না হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না। শৃঙ্খলা না আসলে দুর্ঘটনা বা যানজট হবেই। মহিলা চালক বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আরো মহিলা ড্রাইভার দরকার। মহিলাদের মাথা ঠাণ্ডা থাকে। মহিলারা গাড়ি চালালে ঝুঁকি থাকে না। পুরুষদের মধ্যেও অনেক দক্ষ চালক আছে, তা না হলে তো বাংলাদেশে খালি দুর্ঘটনাই ঘটতো। আপনারা যে দাবি জানিয়েছেন আমি ট্রেনিংয়ের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারবো। সংগঠনটির সভাপতি মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. কালু শেখ প্রমুখ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.