এক যুগ প্রবাস জীবন কাটিয়ে ১২ দিন আগে দেশে ফিরেছিলেন কেরানীগঞ্জের বলসুতা গ্রামের জুয়েল মিয়া। সিদ্ধান্ত নেন আর বিদেশ যাবেন না। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে একত্রে থাকবেন। তাদের সময় দেবেন।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে পাওয়া গেছে জুয়েলের ক্ষত-বিক্ষত লাশ। দুর্বৃত্তরা তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তুলে ফেলা হয়েছে তার বাম চোখ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক বাদশা আলম বলেন, পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পাশের গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে জুয়েলের স্ত্রী রুমা আক্তারের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জুয়েল জেনে গেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ তৈরি হয়। এর জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পরপরই রুমার কথিত প্রেমিক গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।
জুয়েলের খালাতো ভাই মিরজাহান শেখ জানান, জুয়েলের বাবার নাম জুম্মান মিয়। ৫ ভাইয়ের মধ্যে জুয়েল সবার বড়। প্রায় ১২ বছর আগে সংসারের উন্নতির কথা ভেবে দেশ ছাড়েন জুয়েল। ৪ বছর সৌদিতে কাটিয়ে চলে যান কুয়েত। সেখানে নিজের ব্যবসা ছিল। ৮ বছর কুয়েত থাকার পর ১২ দিন আগে দেশে ফিরেন। আত্বীয়-স্বজনদের জানিয়েছিলেন, তিনি আর বিদেশে যাবেন না। এবার দেশেই স্থায়ী হবেন।
মিরজাহান আরও জানান, ৭ বছর আগে দেশে ফিরে বিয়ে করেন জুয়েল। এরপর কুয়েত চলে গেলেও মাঝে মাঝে দেশে আসতেন। তার ৬ বছরের এক কন্যা ও ৩ বছরের এক ছেলে রয়েছে। সন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে দেশে ফিরেছিলেন তিনি।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি ফেরদাউস হোসেন জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। বেশ কিছু সাসপেক্ট (সন্দেহজনক বিষয়) পাওয়া গেছে। সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.