সিলেটে কলেজছাত্র মিসবাহ উদ্দিনের খুনের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে। প্রায় তিন মিনিটের ওই ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ জেনেছে- খুনের মিশনে অংশ নিয়েছিল ৬ জন। এর মধ্যে মূল ঘাতক খুনের ঘটনার পর চাপাতি মুছতে মুছতে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। ইতিমধ্যে আলোচিত এ খুনের ঘটনার সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেলেও এ সপ্তাহে গ্রেপ্তার হয়নি ঘাতকরা। পুলিশ অভিযান চালালেও কাউকে গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গত শনিবার সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের কাস্টম অফিসের সামনে গলা কেটে খুন করা হয় সিলেট কমার্স কলেজের সাবেক ছাত্র মিসবাহ উদ্দিনকে। হত্যাকাণ্ডের পর সোমবার নিহতের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে কবির নামের একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি কবির আহমদই ছিল। তার বাড়ি দক্ষিণ সুরমার বলধী গ্রামে। জিন্দাবাজারের কাজী ম্যানশনের একটি দরজি দোকানের প্রশিক্ষণার্থী কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিল। প্রায় পাঁচ মাস আগে কবিরের সঙ্গে মিসবাহর সঙ্গীদের বচসা হয়েছিল। সেই বচসার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই কবির পলাতক রয়েছে। মেধাবী কলেজছাত্র মিসবাহ উদ্দিনের খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে সিলেটে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শাহপরান (র.) মাজারের প্রধান গেটের সম্মুখে বিসিক শিল্প নগরীর শ্রমিক সংগঠন ও বৃহত্তর শাহপরান এলাকার সাধারণ ছাত্রছাত্রীর ব্যানারে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও সিলেট জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক এজাজ। সাবেক মেম্বার আব্দুল মছব্বির সভাপতিত্বে সদর উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল আহমদ দুলালের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সাংবাদিক মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন খান, মহানগর শ্রমিক লীগের অন্যতম নেতা শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল, যুবলীগ নেতা শাহানুর আহমদ, বেলাল আহমদ, কাওছার আহমদ, জাকির হোসেন, শ্রমিক নেতা এমদাদুল হক, শাহীন আহমদ, ফয়েজ আহমদ, জয়নুল আহমদ, শেবুল আহমদ, এমদাদুল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা হোসেন আলী, খালেদ বর, এনামুল হক, আব্দুল মতিন, মাহফুজ মিয়া, লিটন আহমদ, আব্দুল্লা আল নোমান, মাহবুব হোসেন, জুয়েল ইসলাম, আজাদ মিয়া প্রমুখ। সভায় বক্তারা অবিলম্বে মিসবাহর খুনিদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান। মানববন্ধনে বিসিক শিল্পনগরীর শ্রমিক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.