বাড়ি ঝাড়মোছ করতে গিয়ে তিনি সম্প্রতি খুঁজে পেলেন একটি বই। রবার্ট লুই স্টিভেনসনের লেখা ট্রাভেলস উইথ আ ডাংকি ইন সেভান। বৃদ্ধার মনে পড়ল, ৬৩ বছর আগে স্কুলে পড়ার সময় বইটি পাঠাগার থেকে তিনি ধার নিয়েছিলেন। ওই বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক গত শুক্রবার বললেন, ১৯২৯ সালে ছাপা বইটি তাঁরা এত বছর পর ফেরত পেয়েছেন। যিনি ধার নিয়েছিলেন, তাঁর বয়স ৭০ পেরিয়েছে। এখন পেনশনভোগী। মজার ব্যাপার হলো, তাঁকে কোনো জরিমানা দিতে হয়নি। কারণ, বই বেশি দিন আটকে রাখলেও ওই পাঠাগারে জরিমানা আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। তিনি বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তাই যথেষ্ট। গ্রন্থাগারিক লিজ সোয়্যার বলেছেন, ওই বৃদ্ধার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে কেউ যেন পাঠাগারের বই ফেরত দিতে দেরি না করেন। তাঁদের পাঠাগার থেকে খুব বেশি বই হারায়নি। তারপরও কিছু বই ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে বছরের পর বছর আটকে থাকে। সেগুলো ফেরত পেলে নিশ্চয়ই ভালো লাগে। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় সেভান পার্বত্য এলাকার ১৯৫ কিলোমিটারজুড়ে রবার্ট লুই স্টিভেনসন নিজের একক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে বইটি লিখেছেন। ওই বৃদ্ধা যে কপিটি পড়ার জন্য ধার নিয়েছিলেন, তাতে ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় নরফোকের নর্থ ওয়ালশহ্যাম হাইস্কুলের সিলমোহর রয়েছে। এটি ১৯৫৩ সালে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, বই ফেরত দিতে দেরি করায় সবচেয়ে বেশি জরিমানা আদায়ের পরিমাণ ৩৪৫ ডলারের কিছু বেশি। যিনি ধার নিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে ৪৭ বছর পর এটি ফেরত দেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের কেওয়ানি পাবলিক লাইব্রেরির ওই বই ১৯৫৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.