শেষ হয়েছে দুদিনব্যাপী জমজমাট বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ-২০১৬’। আজ শুক্রবার রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সমাপনী আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুদিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি টানা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)-এর উদ্যোগে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড টেকনোলজিস (বেসিস)-এর সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)-এর সভাপতি আহমাদুল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘আমাদের তরুণদের স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নহীন বা গন্তব্যহীন জাতি কোনোদিন ভালো করতে পারে না। বর্তমান সরকার আইসিটি খাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনাগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য। সরকার আইসিটি খাতে তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলছে।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তরুণদের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। প্রতিবছর দেশে প্রায় আড়াই লাখ ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শেষ করে চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে। চাকরিপ্রত্যাশীদের আইটি খাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলার জন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিপিও খাতকে আমরা অভ্যন্তরীণ বাজারে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। বিশ্বের কাছে আমরা আমাদের বিপিও খাতের সাফল্যের গল্পগুলো তুলে ধরতে চাই। দেশের তরুণদের কাছে এই সেক্টরকে অন্যতম একটি কাজের ক্ষেত্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।’
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড টেকনোলজিস (বেসিস)-এর সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বিপিও খাতের দিকে এখন আলাদা করে নজর দেওয়ার সময় এসেছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি খাত এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময়। আর এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ও দেশের তরুণদের সম্পৃক্ত করতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
এবারের আয়োজনে দুদিনে মোট ১২টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সেমিনার ও কর্মশালায় বিভিন্ন দেশের মোট ২৪ জন বিদেশি বক্তা বক্তব্য রাখেন। ২৫ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী দুদিনের এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.