দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল মোহাম্মদ শাহজাদকে, সেই হিসেবে শনিবার বরিশাল বুলসের বিপক্ষে মাঠে নামার সুযোগ ছিল না রংপুর রাইডার্সের আফগান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের। কিন্তু তিনি মাঠে নামলেন, খেললেনও। ম্যাচে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে রংপুরকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে ম্যাচসেরাও তিনিই। নিষিদ্ধ একজন ম্যাচ খেলতে নেমে গেলেন, কিভাবে সম্ভব? জানা গেল বিপিএলের স্বার্থে কমানো হয়েছে শাহজাদের শাস্তি। রংপুর রাইডার্স কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই ব্যাটসম্যানের নিষেধাজ্ঞা এক ম্যাচ কমিয়ে দেয়া হয়েছে বলে শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। অথচ ওইদিন ম্যাচ শুরুর হওয়ার আগ পর্যন্ত বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি। আর তাই বরিশাল বুলসের বিপক্ষে শাহজাদের মাঠে নামা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে বিস্ময় ঝরেছে।
গত ২৮ নভেম্বর রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে সাবি্বর রহমানকে পেছন থেকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করায় দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। সে ম্যাচে রংপুরের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পাকিস্তানি মোহাম্মদ সামির বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন সামির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ। উইকেট পতনের আনন্দে তখন উল্লাস করতে থাকেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। ওই সময় ড্রেসিং রুমে যাওয়ার সময় সাবি্বর রহমানকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন আফগানিস্তানের এ ওপেনার। এরপর বিসিবি কোড অব কন্ডাক্টেরের ২.১.১ ধারা ভঙ্গ করায় দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন শাহজাদ। পাশাপাশি ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাকে। এছাড়া আচরণ বিধির নিয়মানুযায়ী চারটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয় তার। ধারা ৭.৫ অনুযায়ী কোনো খেলোয়াড়ের নামের পাশে চার ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হলে তাকে কমপক্ষে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়। সে নিয়ম অনুযায়ী রংপুর রাইডার্সের পরবর্তী দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন শাহজাদ। সেই হিসেবে গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি এই ওপেনার। শনিবার বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিশেষ বিবেচনায় রংপুরের আবেদনের ভিত্তিতে শাস্তি কমিয়ে দেয়া হয়েছে তার। দুইদিন আগে রংপুর রাইডার্স কর্তৃপক্ষ আবেদন করেছিল মোহাম্মদ শাহজাদের শাস্তি কমিয়ে দেয়ার জন্য। রংপুর তাদের নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। তাই বিসিবি ও বিপিএলের গভর্নিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাকে বিশেষ বিবেচনায় এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.