আর কয়েক দিন পরই ফুলে ফুলে ভরে উঠবে বেদি। স্মরণ করা হবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কারকাজ চলছে। স্থানীয় লোকজন বলেছেন, বছরে একবারই এই কাজটা হয়। তারপর আর সারা বছর খোঁজ থাকে না। রায়েরবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঢুকতেই পানির মোটরের শব্দ পাওয়া যায়। কিছু কিছু জায়গায় ভাঙা ইটের টুকরা ছড়ানো। চারদিকেই ব্যস্ততা। ২০ নভেম্বর থেকে এখানে সংস্কার ও ধোয়ামোছার কাজ শুরু হয়েছে। চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গতকাল রোববার বিকেলে স্মৃতিসৌধে সালমা আলমের সঙ্গে কথা হয়। প্রায়ই বিকেলে হাঁটতে আসেন। রায়েরবাজার নিবাসী সালমা বলেন, ‘সারা বছর খোঁজ থাকে না। ময়লা পইড়া থাকে। বুদ্ধিজীবী দিবস আসলেই এর আদর-যত্ন বাইড়া যায়।’ গেটের বাইরের এক ফুচকা বিক্রেতাও একই কথা বলেন। পুরো স্মৃতিসৌধে আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো পাত্র বা স্থান নেই। হাতে খাবার নিয়ে যাঁরা ঢুকছেন, সৌধের উন্মুক্ত স্থানেই উচ্ছিষ্ট ফেলছেন। ঘাসের মধ্যে খাবারের প্যাকেট পড়ে আছে। মূল বেদির সামনে কৃত্রিম জলাশয়। এর মধ্যে ভাসছে চিপসের প্যাকেটসহ নানা আবর্জনা। পানিও নোংরা, শেওলাভরা। শ্রমিকেরা সেখানে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। আবর্জনা শুধু ভেতরেই নয়, দুটি প্রবেশপথের সামনেও। হকার প্রবেশ নিষেধ হলেও ভেতরে হকার ঘুরছেন। এই স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে আছেন ধানমন্ডি গণপূর্ত উপবিভাগের উপ-প্রকৌশলী মো. রায়হান মিয়া। তিনি বলেন, তেমন প্রয়োজন হয় না বলে বড় পরিসরে বছরে একবারই এ ধরনের কাজ হয়। এবার রং করা, ধোয়া ও কিছু জায়গা সংস্কার হচ্ছে। সৌধের ভেতরের পানি দুই মাস পরপর পরিষ্কার করা হয়। ঝাড়ু দেওয়া হয় মূল স্থাপনায়। এটা দেখভালের জন্য ছয়জন নিরাপত্তাকর্মী আছেন। তবে গতকাল স্মৃতিসৌধে একজন নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে এই প্রকৌশলী বললেন, ময়লা ফেলার পাত্র রাখার ব্যাপারে চিন্তা করে দেখবেন। ধোয়ামোছার পর ১০ ডিসেম্বর থেকে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। খুলে দেওয়া হবে ১৪ তারিখে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.