স্বপ্ন রাঙ্গিয়ে গতকাল ভোরেই বাড়ির পথ ধরেছেন কৃষ্ণা মার্জিয়ারা। ডাবল ঈদ করে তারা ফিরবেন ১৭ই অক্টোবর। ওই দিনই এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বের প্রস্তুতি শুরু করবে মেয়েরা। আগামী বছরের মূল পর্ব বসছে থাইল্যান্ডে। থাইল্যান্ডে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হবে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়াই অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি মহিলা টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। আর সঙ্গে চীন, জাপান ও স্বাগতিক থাইল্যান্ড। এদের সঙ্গে বাছাই পর্বের হার্ডল পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও লাওস। এই আট দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে মূল পর্ব। এশিয়ার মেয়েদের ফুটবল মানচিত্রে উত্তর কোরিয়া এমনিতেই অনেকটা জায়গা দখল করে আছে। বড়দের এএফসি কাপে চীনের (৮টি) পর সবচেয়ে বেশি শিরোপাও তাদের (৩টি)। বয়সভিত্তিক ফুটবলেও সেই দাপটের প্রতিফলন। তবে অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে সফলতম দল অবশ্য জাপান। তিনবার শিরোপা জিতেছে তারা। দুবার জিতে ঠিক এরপরই আছে উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়াও একবার পেয়েছে শিরোপার স্বাদ। ২০০৫ সাল থেকে শুরু দ্বিবার্ষিক এই টুর্নামেন্টে শিরোপার স্বাদ পেয়েছে শুধু এই তিনটি দলই। এই তিনটি দলই আছে আগামী বছরের চূড়ান্ত পর্বেও। যাতে বাংলাদেশ ছাড়া শুধু লাওসই নতুন। সব দেশকে অবশ্য বাংলাদেশ ও লাওসের মতো বাছাই পর্বের বাধা পার হয়ে আসতে হয়নি। চারটি দেশ সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে খেলার টিকিট পেয়েছে। বয়সভিত্তিক মেয়েদের ফুটবলে গোল বোধহয় একটু বেশিই হয়। শুধু কৃষ্ণারা নয়, গোলবন্যা বইয়ে দিয়েছে বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা অন্য দেশগুলোও। বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচে ২৬ গোল দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া চার ম্যাচে দিয়েছে ৩৮ গোল। আর অস্ট্রেলিয়ার সংখ্যা পাঁচ ম্যাচে ৬৫টি! ম্যাচপ্রতি ১৩টি! লাওসই চার ম্যাচে ২৩ গোল দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে। চূড়ান্ত পর্বে যারা গতবারের চার সেমিফাইনালিস্ট উত্তর কোরিয়া, জাপান চীন ও থাইল্যান্ড বাছাই পর্ব পেরিয়ে ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ লাওস ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া ‘সি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ‘ডি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.