নোট বাতিলের জেরে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা রাজ্যে রোববার নির্ধারিত ৫০ হাজার বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত হয়েছে। বিয়ের জন্য ব্যাংক থেকে রুপি উত্তোলনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করা নিয়ে জটিলতায় পড়ে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো। কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় রুপি উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না। অনেকের অভিযোগ, সবকিছু দেয়ার পরও ব্যাংক বলছে তাদের কাছে এত রুপি নেই।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, হিন্দু বিয়ের প্রথা অনুযায়ী, রোববার ছিল বিয়ের জন্য সব দিক থেকে শুভ দিন। জ্যোতিষীরা বলছেন, এরপর এমন শুভ তারিখ আসবে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি। হায়দরাবাদেও রোববার ২০ হাজার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে অধিকাংশ বিয়েই স্থগিত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা অনুসারে, বিয়ের খরচ নির্বাহের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার রুপি দেয়া যাবে। কিন্তু সেজন্য কোন কোন খাতে কত রুপি এবং তা কাদের মাধ্যমে ব্যয় করা হবে, তার নথিপত্র জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। বিয়ের জন্য আরেকটি বাধা, ব্যবসায়ীদের ব্যাংক লেনদেন নিয়ে জটিলতা।
ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি দিতে হচ্ছে, তারা নগদ অর্থ গ্রহণ করবেন, অনলাইনে লেনদেন করতে পারবেন না। ফলে বিয়ের কেনাকাটার বাজার স্থবির হয়ে পড়ছে।
ব্যাংকগুলোর দাবি, ‘আমরা শুধু নিশ্চিত হচ্ছি, অর্থ তুলে তা বিয়েতে খরচ করা হবে। আমরা রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার নির্দেশনা অনুসরণ করছি মাত্র। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মের বাইরে যেতে পারি না।’
এদিকে, ব্যাংকের লেনদেন স্বাভাবিক হতে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে অনেকে আশংকা প্রকাশ করেছেন, এর মধ্যে ব্যাংক লেনদেন স্বাভাবিক না হলে পরের শুভ তারিখেও তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারবেন না।
অনেকে অভিযোগ করেছেন, নগদ অর্থ উত্তোলনে ‘শিথিলতার’ নামে ধোঁকা দেয়া হচ্ছে। বিয়ের জন্য অর্থ উত্তোলনে ভূরি ভূরি নথিপত্র জমা দেয়ার তালিকা ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
মধ্যপুরের বাসিন্দা ভি চন্দ্রিকার অভিযোগ, নগদ অর্থের অভাবে রোববার নির্ধারিত তার একমাত্র মেয়ের বিয়ে স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ি বিক্রির অর্থ আমি ব্যাংকে জমা রাখি। কিন্তু এখন মেয়ের বিয়ের জন্য সে অর্থ তুলতে পারছি না।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.