এটা ছিল লিওনেল মেসির ৩৩তম এল ক্লাসিকো ম্যাচ। আর ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের ব্যান্ড হাতে এল ক্লাসিকো খেলতে নামেন মেসি। এল ক্লাসিকোতে সর্বাধিক ২১ গোলের রেকর্ড মেসিরই। তবে এ নিয়ে টানা ৬ এল ক্লাসিকো ম্যাচে গোলহীন থাকতে দেখা গেল মেসিকে। তবে শনিবার ইনিয়েস্তার পাসে গোলের দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন মেসি। ওই সময় ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। গোলটি হলে খেলার ফল অন্যরকম হতে পারতো বলাই যায়। মহাযুদ্ধে আরো একবার মহাবীর রূপে আবির্ভূত হলেন সার্জিও রামোস। ফুটবল মাঠে গোল নিয়ে আরো একবার রিয়াল মাদ্রিদের ত্রাতা এ স্প্যানিয়ার্ড ডিফেন্ডার। শনিবার স্প্যানিশ এল ক্লাসিকোয় ১-১ গোলের সমতায় খেলা শেষ করে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্প মাঠে সার্জিও রামোস রিয়ালের সমতাসূচক গোলটি আদায় করেন ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে। এতে লা লিগায় দু’দলের ৬ পয়েন্টের ফারাক অপরিবর্তিত থেকে গেল। চলতি আসরে ১৪ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ ৩৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে বার্সেলোনার সংগ্রহ ২৮। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে সেভিয়া ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সংগ্রহ যথাক্রমে ২৭ ও ২৫ পয়েন্ট। নিজেদের ন্যু ক্যাম্প মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে নিষ্প্রভই দেখাচ্ছিল বার্সেলোনাকে। বল পায়ে মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ রাখেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় লুকা মদ্রিচ। এতে সফরকারী রিয়াল মাদ্রিদ বার্সেলোনার জার্মান গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেনের পরীক্ষা নেয় একাধিকবার। রিয়ালের সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বার্সেলোনার গোলবারে শট নেন তিনবার। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আন্দ্রে ইনিয়েস্তার আগমনে ছন্দ ফেরে বার্সার খেলায়। ৫৩তম মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে হেডের গোলে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন লুইস সুয়ারেজ। চলতি আসরে বার্সার উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজের এটি নবম গোল। সর্বোচ্চ ১০ গোল রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। তবে ৯৯০০০ দর্শকে ঠাসা ন্যু ক্যাম্প মাঠে শেষের নায়ক রামোস। শেষ মিনিটে গোল আদায় করেন তিনি। আর যোগ হওয়া সময়ের শেষ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের গোল লাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন এই রিয়াল অধিনায়ক। বড় ম্যাচে ৯০তম মিনিটে গোল নিয়ে সার্জি রামোসের রিয়ালকে রক্ষার নজির রয়েছে আরো। ২০১৪‘র ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৯৩ মিনিটে গোল নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে সমতায় ফেরান সার্জিও রামোস। ফাইনালের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। পরে অতিরিক্ত সময় শেষে ৪-১ গোলের জয়ে শিরোপা ঘরে তোলে রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ ইউয়েফা সুপার কাপেও রিয়ালের শেষের নায়ক রামোস। সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৯০তম মিনিটে গোল নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে সমতায় ফেরান রামোস। পরে জয় নিয়ে শিরোপা ওঠে মাদ্রিদিস্তাদের হাতে। লা লিগা তালিকা দল ম্যাচ জয় ড্র হার গোল প. রিয়াল মাদ্রিদ ১৪ ১০ ৪ ০ ৩৭/১২ ৩৪ বার্সেলোনা ১৪ ৮ ৪ ২ ৩৪/১৫ ২৮ সেভিয়া ১৪ ৮ ৩ ৩ ২৫/২০ ২৭ অ্যাটলেটিকো ১৪ ৭ ৪ ৩ ২৮/১১ ২৫ ভিয়ারিয়াল ১৪ ৬ ৫ ৩ ১৯/১০ ২৩
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.