কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের কারণে দুইদিনে ১০টি চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি বিভাগের ক্লাসও।
ছয় দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবারও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখেন শিক্ষকরা। অন্যদিকে ক্লাসে ফেরার কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ নুরুল করিম চৌধুরী বলেন, আজ ফার্মেসি, পদার্থ বিজ্ঞান ও লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতক পর্যায়ে একটি করে এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের একটিসহ মোট চারটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর আগে শিক্ষক আন্দোলনের কারণে গতকালও পাঁচটি বিভাগের ছয়টি চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘আজ দুপুরে আমরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু তিনি দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেননি। তাই আমার ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বিশ্ববিদ্যালযের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। দ্রুতই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ক্লাসে ফেরার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজও ক্যাম্পাসের কাঁঠাল তলায় ও ফটকে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ক্লাসে ফেরার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে গতকাল শিক্ষকদের বাসায় হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
শিক্ষক সমিতি ছয় দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ১৭ জানুয়ারি রাতে শিক্ষকের বাসায় হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার, শিক্ষক লাঞ্ছনায় অভিযুক্ত ডিন এম এম শরীফুল করিমকে সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করা এবং নতুন প্রক্টরকে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া।