বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুর অধিকার এবং নিরাপত্তার বিষয়টি সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেছেন, সংখ্যালঘুর অস্তিত্ব মানে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব। এই বৈচিত্র্যের সংস্কৃতি যদি হারিয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান অথবা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর চেহারায় আবির্ভূত হবে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন ও বক্তাদের ভাষ্য, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বসবাসরত ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সংকট মোটামুটি একই ধরনের। সব দেশের সংবিধান কিংবা আইনে সংখ্যালঘুদের সম-অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা থাকলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই। সরকার, রাজনৈতিক দল কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সংখ্যালঘু বিতাড়ন ও নির্যাতনে জড়িত।
ভারতের প্রকাশনা সংস্থা বুক ফর চেঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া স্টেট অব মাইনরিটিস রিপোর্ট ২০১৬: ম্যাপিং দ্য টেরেইন’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন ও ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত দ্য সাউথ এশিয়া কালেকটিভ নামের একটি নেটওয়ার্ক। প্রতিবেদনের অন্তর্গত ‘পেভিং দ্য ওয়ে টু লিবারেশন’ অংশটি আলাদা করে প্রকাশ করেছে নাগরিক উদ্যোগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিবেদন দুটিতে যে সুপারিশগুলো করা হয়েছে, তা যেন সরকার সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করে, সেটা দেখতে হবে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের বিশাল একটি জনগোষ্ঠী ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু হওয়ায় ক্ষমতাহীন হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক (সাম্মানিক) সারা হোসেন বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি যেন দায়মুক্তির ব্যাপার। কোনোভাবেই সংখ্যালঘুরা যেন বিচার না পান, প্রতিকার না পান, সে চেষ্টাই থাকে সব সময়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.