কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ আদায়ে আগামী জানুয়ারি থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিটিআরসিকে বলেছিলাম- আইটিইউ’র মানের বাইরে কতটুকু কল ড্রপ হল এটা মেজার (পরিমাপ) করার একটা টুল (ব্যবস্থা) আমাদের কাছে থাকা প্রয়োজন। কারণ আমরা ইনফরমেশনটা চাচ্ছি অপারেটরদের কাছ থেকে। এজন্য শতভাগ তাদের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।’
কলড্রপ হচ্ছে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় হঠাৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা-আইটিইউ’র মান অনুযায়ী ১০০টি কলের মধ্যে তিনটি কল ড্রপ গ্রহণযোগ্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অপারেটরদের বলেছিলাম- ডিসেম্বর পর্যন্ত ঐচ্ছিকভাবে তাদেরকে কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমরা যে হালনাগাদ তথ্য বিটিআরসির কাছ থেকে পেয়েছি, তাতে দেখা গেছে- একটি অপারেটর বাদে কোনো অপারেটর কল ফেরত দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘তিন দিন আগে আমাদের এখান থেকে নির্দেশনা দিয়েছি। ডিসেম্বরের মধ্যে স্বপ্রণোদিত হয়ে আইটিইউ’র গাইডলাইনের বাইরে যে কল ড্রপ হয় তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদি না দিয়ে থাকে, তবে জানুয়ারি থেকে বিটিআরসি যেন এটি কার্যকর করে।’
কলড্রপের ক্ষতিপূরণ পরিশোধ, রাত ১২টার পর মেসেজ না পাঠানোসহ অপারেটরগুলোকে সেবার মান উন্নয়নের নির্দেশনা মন্ত্রী হওয়ার দ্বিতীয় মাসেই দেয়া হয়েছে বলে জানান তারানা হালিম।
তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমরা আবার বলেছি- যে নির্দেশনাগুলো ছিল এগুলো কতটুকু পালন হল তা বিটিআরসি যাতে কঠোরভাবে মনিটর করে। কল ফেরত প্রদান না করলে বিটিআরসি নিজ থেকে কিভাবে এটা কার্যকর করতে পারে, এ বিষয়ে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.