চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের ‘অসাধারণ দক্ষতা’ কাজে লাগিয়ে কাশ্মীর সমস্যাসহ সারা বিশ্বের বহু বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে তাঁর সহযোগী (ভাইস প্রেসিডেন্ট) মাইক পেন্স গত রোববার এ মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি নিউজ টেলিভিশন চ্যানেল ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে মাইক পেন্সের ওই সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। এতে তিনি বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপারে ‘পুরোপুরিভাবে যুক্ত’ হয়ে শান্তি ও নিরাপত্তার উন্নয়নে কাশ্মীরের মতো বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে চায়। ট্রাম্পের প্রশংসায় মুখর ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স বলেন, বিশ্ব এখন এক নতুন তেজোদ্দীপ্ত নেতৃত্ব দেখতে চলেছে। ট্রাম্প দেশের অভ্যন্তরীণ স্বার্থ রক্ষা, অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থানের পক্ষে লড়াই করতে চান। আর চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে নিজের অসাধারণ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের অনেক উত্তেজনা নিরসন এবং সমস্যার সমাধান করতে চান তিনি। ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রসঙ্গে মাইক পেন্স বলেন, ট্রাম্প দুটি দেশকেই জানাতে চান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চল এবং দুই দেশের সঙ্গে পরিপূর্ণভাবে যুক্ত হয়ে শান্তি ও নিরাপত্তার উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিশেষ করে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বড় ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের সম্পর্ক উন্নয়নে মার্কিন প্রশাসনের যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। হবু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সহযোগী দল বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ফোনালাপের সময়ে নিয়মনীতি বজায় রাখার ব্যাপারে পররাষ্ট্র দপ্তরের পেশাদার কর্মীদের পরামর্শ নিচ্ছে কি না, জানতে চাইলে পেন্স বলেন, তিনি ও ট্রাম্প প্রতিদিনই জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ব্রিফিং’ পাচ্ছেন। ভারতের আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারেন ট্রাম্প: এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গতকাল বলেছে, বেইজিংকে ‘দমিয়ে রাখতে’ ট্রাম্পের কূটনীতিতে মার্কিন-ভারত সম্পর্ক একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু এতে চীনের ওপর সীমিত প্রভাব পড়বে। কারণ, ভারত নিজেদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বহাল রাখার স্বার্থে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ‘লোক দেখানো জোট’ গড়তে রাজি হবে বলে মনে হয় না। গ্লোবাল টাইমস পত্রিকায় গতকাল প্রকাশিত ‘দিল্লির সঙ্গে জোট গড়তে ট্রাম্প আগ্রহী হতে পারেন’ শীর্ষক এক নিবন্ধে বলা হয়, ট্রাম্পের কূটনীতিতে মার্কিন-ভারত সম্পর্ক খুবই গুরুত্ব পাবে। বহির্বিশ্বের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করে দেশীয় বিভিন্ন সমস্যা দূর করার চেষ্টায় ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চাইবে। কিন্তু ভারত নিজস্ব অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় সীমিত ভূমিকাই রাখতে পারবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.