ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির পৃথক দুটি মামলায় দুইজন ব্যবসায়ী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার এই তিন আসামি আগাম জামিন নিতে আসলে আবেদন নামঞ্জুর করে দুদকের হাতে ন্যাস্ত করার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহিদুল ইসলাম খান।
তিন আসামির দু’জন বেসিক ব্যাংকের দুই গ্রাহক গুলশানের তাহমিনা টাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসির আহমেদ খান ও পরিচালক কাজী রেজওয়ান মনিরুল হক। অপরজন সিটি ব্যাংক লিমিটেডের কার্ড ডিভিশনের প্রধান ও এভিপি মুসাব্বির রহিম।
আদেশের পর দুদক টাস্কফোর্সের সদস্যরা তাদের নিয়ে যান।
বেসিক ব্যাংক থেকে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ী ইয়াসির আরাফাত ও কাজী রেজওয়াসহ ১০ জনের নামে দুদক উপপরিচালক জয়নুল আবেদীন গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। মামলার বাকি আসামিরা ব্যাংকের কর্মকর্তা।
সেই মামলায় আগাম জামিন চাইতে আসেন আরাফাত ও রেজওয়ান। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে দুদক টাস্কফোর্সের হাতে তুলে দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন নুরুল ইসলাম সুজন এমপি।
এদিকে অপর বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ও গ্রাহকদের সঙ্গে দুই কোটি ৫৪ লাখ টাকার মত জালিয়াতির অভিযোগে সিটি ব্যাংকের এভিপি ও কার্ড সার্ভিসের প্রধান হিসেবে কর্মরত মুসাব্বিরের নামে মামলাটি হয়। বনানী থানায় চলতি বছর ১৮ আগস্ট মামলাটি দায়ের করেন একই ব্যাংকের লিগ্যাল ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার এ কে এম আইয়ুব উল্লাহ। সেই মামলায়ও ব্যাংক কর্মকর্তা মুসাব্বির হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইতে আসেন। তার জামিন আবেদনও বুধবার খারিজ করে দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
মুসাব্বিরের পক্ষে জামিন শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.