দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবা প্রদান সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও আলাদা শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বা তার পরিবারের সদস্যদের সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। গতকাল সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ তথ্য জানান। সরকারি দলের বেগম আখতার জাহান এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন। সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদীর প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম জানান, বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিধায় বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১২৫টি দেশে রপ্তানি হয়ে আসছে এবং রফতানিকৃত দেশের সংখ্যা ও রপ্তানির পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্পন্ন বলে স্বীকৃত। বাংলাদেশের ওষুধ বিভিন্ন দেশে সুনাম অর্জন করছে এবং গুণগত কারণে বিভিন্ন দেশের মানষের আস্থা বাংলাদেশের ওষুধের ওপর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে নিম্নমানের ওষুধ যাতে কোনো অবস্থাতেই দেশীয় বাজারে বাজারজাতকরণ ও বিক্রি বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থান অবলম্বন করছে। নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের জন্য ইতোমধ্যে ৩১টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও আনুমানিক ১১ কোটি টাকার ওষুধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় এবং ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে এ পর্যন্ত ৮৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল এবং ১৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৪৪টি পদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং ৩১টি পদের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করাসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানান, সরকারি হিসাবে বর্তমানে দেশে এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪ হাজার ৭২১, যার মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৭৯৯ জন। ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে অভিবাসী ও শিরায় নেশা গ্রহণকারীদের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.