বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সফরের পর ইংলিশ ক্রিকেটার এবং মিডিয়ার ইতিবাচক মন্তব্য অস্ট্রেলিয়াকে আরও বেশি উৎসাহিত করেছে। ক্রিকেটারদের দেয়া নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বিশ্ব মিডিয়ায় প্রশংসিত হয়েছে। খোদ ইংল্যান্ড টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক সোশ্যাল মিডিয়ায় সব দেশকে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছেন। সবাই বলেছেন, সফরের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ। অস্ট্রেলিয়াও তাই নড়চড়ে বসেছে। সার্বিক পরিস্থিতি যাচাইয়ে ইতোমধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান সিয়ান ক্যারল বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এমনটাই জানিয়েছে টেলিগ্রাফ। ক্যারণ ইংল্যান্ড দলকে দেয়া নিরাপত্তার বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করেছেন। তিনি সন্তুষ্ট হয়েই ফিরে গেছেন। কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ হওয়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে সিরিজ খেলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একজন মুখপাত্র টেলিগ্রাফকে বলেছেন, ‘আমরা অতি দ্রুত বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার বিষয়ে খুবই আশাবাদী। এখন আমরা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিষয়টি গভর্নিং বডির নিকট পেশ করেছি। আশা করছি দ্রুতই সফরের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা যাবে।’ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও হাঁটবে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দেখানো পথে। বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে খেলোয়াড়দের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল ইসিবি, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও তাই করবে। এমনটাই জানিয়েছে টেলিগ্রাফ। যেসব ক্রিকেটার বাংলাদেশে আসতে চাইবে না তাদের জোর করা হবে না। প্রত্যেককেই নিজের মতামত জানানোর স্বাধীনতা দেয়া হবে। তবে আগামী বছরের আগস্ট মাসের আগে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজ খেলতে সবশেষ ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সফর করেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই টেস্টের সেই সিরিজে টাইগারদের ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল রিকি পন্টিংয়ের দল। তবে সময় বদলেছে। এই বাংলাদেশ আর সেই বাংলাদেশ এক নয়। টেলিগ্রাফ বলছে, ইংল্যান্ড সিরিজ দেখে অজিদের মাঠকেন্দ্রিক চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তরুণ স্পিন সেনসেশন মিরাজ। ইংলিশদের বিপক্ষে ২ টেস্টে ১৯ উইকেট নেয়া এই বোলার বিপদে ফেলতে পারে অজিদের- এমনটাই মনে করছে তারা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.