নাটোরের তিন যুবলীগ নেতা-কর্মী হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর মামলা করেছেন নিহত ব্যক্তিদের একজন রেদোয়ান সাব্বিরের মা মোছাম্মাত রুখসানা বেগম। মামলায় ‘প্রশিক্ষিত শক্তিশালী বাহিনী’ পরিকল্পিতভাবে নিজে বা প্ররোচিত হয়ে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর সদর থানায় করা এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জনকে আসামি করেন বাদী রুখসানা বেগম। থানার ওসি মিজানুর রহমান গতকাল বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা আজই তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে তদন্তকাজ শুরু করব।’ পুলিশ জানায়, এজাহারে বলা হয়েছে, সাব্বির তাঁর বন্ধু আবদুল্লাহ ও সোহেলকে নিয়ে গত শনিবার রাত আটটায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে ব্যবসায়িক কাজে নাটোর সদর উপজেলার তোকিয়া বাজারে যান। সেখানে মান্নান মিয়ার দোকানে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চা পানের সময় একটি সাদা ও একটি কালো মাইক্রোবাসে ১৫-১৬ জন সাদা পোশাকধারী সশস্ত্র ব্যক্তি র্যাব পরিচয় দিয়ে তাঁদের ঘিরে ধরে। পরে পিটিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে রাজশাহীর দিকে চলে যায়। লোকজন ঘটনাটি দেখেছে। লোকমুখে শুনে বাদী রোববার সদর থানায় জিডি করেন। সোমবার সকালে তিন বন্ধুর গুলিবিদ্ধ লাশ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার কলাপাড়ায় পাওয়া যায়। এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, তিনজনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয় এবং হত্যার পর লাশ দিনাজপুরে ফেলে রাখা হয়। ‘প্রশিক্ষিত শক্তিশালী বাহিনী’ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।