প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে পড়তে যায়। এদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যায় বড় একটি অংশ। তবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংখ্যা কমিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজারে নামিয়ে আনতে চায়। দ্য গার্ডিয়ান এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে।
গার্ডিয়ান বলছে, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রুড কয়েকমাস আগে এক কনফারেন্সে নিম্নমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ভিসা পদ্ধতি কঠোর করার মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানোর কথা বলেছিলেন। এ সিদ্ধান্ত সে ঘোষণারই ধারাবাহিকতা মাত্র। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে করে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। যার ফলে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গার্ডিয়ানের ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির মাধ্যমে দেশটি বছরে প্রায় পৌনে ১১ কোটি পাউন্ড আয় করে। শিক্ষার্থী কমলে তা দেশটির অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কলিন রিওর্ডান। তিনি দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমানোর কথা ভাবছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে যুক্তরাজ্যের মূল সমস্যা এটা নয়। এদেশের যে সমস্যা বিদ্যমান, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিদেশি শিক্ষার্থী বা কর্মীরা দায়ী এমনটাও আমি মনে করি না। আমরা বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করলে এ আয়ের সুযোগ অন্য দেশগুলো নেবে।
শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার কিথ বার্নেট বলছেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ চাইলে যুক্তরাজ্যকে উদার হতেই হবে। যদি সেটা না হয়, তবে এ শিক্ষার্থীরা অন্যত্র চলে যেতে চাইবে। এর সুফল ভোগ করবে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। সেটা আমাদের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.