মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিজয় সুসংহত করার পথে প্রধান বাধা সাম্প্রদায়িকতা।’ গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ফটক থেকে আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। জুমার নামাজের পরপরই ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও মহল্লা থেকে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শোভাযাত্রায় আসেন। আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রার কারণে রাজধানীর প্রেসক্লাব, গুলিস্তান, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, সায়েন্স ল্যাব, আসাদগেট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। রাজধানীর সব রুটেই পড়ে এর প্রভাব। ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও ব্যাপক যানজটের কবলে পড়েন হাজারো মানুষ। দলে দলে হাতে ছোট ছোট পতাকার পাশাপাশি বিশালাকার পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শুধু জাতীয় পতাকাই নয়, হাতি, ঘোড়ার গাড়ি ও দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়েও শোভাযাত্রায় অংশ নেন তাঁরা। তবে নজর কাড়ে বিশালকায় দুটি হাতি। তারা শুঁড় উঁচিয়ে অভিবাদন জানায় শোভাযাত্রায় আসা নেতা-কর্মীদের। শোভাযাত্রায় বড়দের সঙ্গে অংশ নেয় ছোটরাও। তবে তারা মিছিলে নয়, ভ্যান বা গাড়িতে বসে মুক্তিযোদ্ধার সাজে সেজে আসে। কারও হাতে খেলনা বন্দুক, কেউবা শরণার্থীর বেশে যোগ দেয় শোভাযাত্রায়। একাত্তরের সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী রাজাকার, আলবদর ও আলশামসকে পাকড়াও করার বিভিন্ন কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয় এই শোভাযাত্রায়। স্লোগান আর গানে চলতে থাকা শোভাযাত্রাটি শেষ হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে। শোভাযাত্রার আগে ট্রাকের ওপর নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.