শীতকালে বাংলাদেশে সবজির ছড়াছড়ি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মুলা, শিম, মটরশুঁটি ইত্যাদি হরেক রকমের সবজিতে বাজার ছেয়ে আছে। শীতের এসব বৈচিত্র্যময় শাকসবজির একেকটার গুণাগুণ একেক ধরনের। টমেটো: এটি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিনের চমৎকার উৎস। লাইকোপিন নামের উপাদানের কারণে টমেটোর রং লাল হয়। এই লাইকোপিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। লাইকোপিন হাড়ের সুস্থতায় সাহায্য করে। টমেটোতে আছে প্রচুর বায়োটিন, ভিটামিন বি৬, ম্যাংগানিজ, ভিটামিন ই ইত্যাদি। এই সবজি হৃদ্রোগ প্রতিহত করে, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়, ত্বক ও চুলের সুস্থতা বজায় রাখে। বেশি তাপে টমেটোর ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই এটি কাঁচা বা সালাদ করে খাওয়া ভালো। গাজর: গাজর খেলে চোখ ভালো থাকে বলে যে মিথ চালু আছে, তা মিথ্যা নয়। কেননা গাজরে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ আছে, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। এই সবজিতে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফলেট, পটাশিয়ামও আছে অনেক। পটাশিয়াম রক্তনালি সুস্থ রাখে, ফলেট গর্ভস্থ শিশুর জন্য ভালো। গাজরে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম, প্রতি ১০০ গ্রামে ৪৪ ক্যালরি থাকে। তাই যাঁরা শরীরের ওজন কমাতে চান, তাঁরা বেশি করে গাজর খেতে পারেন। ফুলকপি: ফুলকপি নানান ভিটামিনের সমাহার। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৬ এবং নানা খনিজ উপাদান আছে। এতে কিছুটা প্রোটিনও আছে, আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। পরিপাকতন্ত্র ও রক্তসংবহনতন্ত্রের জন্য এটি খুবই উপকারী। হাড়ের সুস্থতায় ফুলকপি সাহায্য করে। তবে বেশি পরিমাণে ফুলকপি অনেক সময় হজমে সমস্যা করতে পারে, পেটে গ্যাস হতে পারে। শিম: এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ আছে, যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী। আছে প্রোটিন, ভিটামিন সি ও জিংক। শিমের বিচিও প্রোটিনের চমৎকার উৎস। যাঁরা মাছ-মাংস কম খেতে চান, তাঁরা শিমের বিচির মাধ্যমে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.