মিতু হত্যাকাণ্ড
দেশজুড়ে চাঞ্চল্যকর চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি মুসাকে গ্রেপ্তার ছাড়াই মামলার তদন্ত কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, শিগগিরই হয়তো ধরা পড়বেন আসামি মুসা। তাকে ধরতে একের পর এক অভিযান চলছে। এই মামলার চার্জশিটও প্রস্তুত হওয়ার পথে। মামলার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পুলিশ সুপার বাবুল আকতারসহ মিতুর পরিবারের অন্য সদস্যদের তদন্তের স্বার্থে ডাকা হবে বলে জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা। গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ ঢাকা থেকে তলব করে পাঠানো হয় বাবুল আকতারকে। এই সময় চট্টগ্রামে এসে তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে রাতেই আবার বিমানযোগে ঢাকায় ফিরে যান। গতকাল শনিবার সকালে এ বিষয়ে জানতে নগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে গেলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে বাবুল আকতারকে ডেকে পাঠানো হয়েছিলো। তাকে প্রতি সপ্তাহে কিংবা মাসে হয়তো আরো দুই একবার করে ডেকে পাঠানো হবে। কেবল তিনি নন, মিতুর বাবা ও বাবুল আকতারের শ্বশুর মোশারফ হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও এই ঘটনার বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমরা মামলার তদন্ত প্রায়ই গুছিয়ে এনেছি। বাবুল সাহেবকে মূলত ডেকেছি তিনি যেহেতু মামলার বাদী ছিলেন। তাকে প্রয়োজনে আরো বেশ কয়েকবার ডাকা হবে। তদন্তের স্বার্থে নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে তাকে হয়তো আসতে হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবারের অন্য সদস্যদেরও ডাকা হতে পারে। মোশারফ সাহেব কিংবা মিতুর পরিবারের অন্য লোকদের কথাও আমরা শুনবো। আসামি মুসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। সময় হলেই জানতে পারবেন। আশা করছি শিগগিরই সে ধরা পড়বে। তবে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে সারা দেশে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। পুলিশ বিভাগ বলছে আসামি মুসাকে পাওয়া গেলে খোলাসা হবে এই ঘটনার জট। কিন্তু পুলিশ সোর্স মুসা কোথায় আছে, আদৌ বেঁচে আছে কিনা তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি কেউ। তার পরিবার দাবি করেছে, বহু আগেই তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশের একটি দল। ইতিমধ্যে মুসাকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেবে নগর পুলিশ। এবিষয়ে সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডের কাজ অনেকখানি এগিয়ে যাচ্ছে। সব কথা এখনই বলা যাবে না। যারা যারা জড়িত তা আমরা আদালতকে জানাবো। এখন নিয়মিত তদন্ত চলছে। কাজ প্রায় শেষের পথে। ইকবাল বাহার বলেন, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার মামলার বাদী। উনার সঙ্গে আমাদের তদন্ত কর্মকর্তার বিভিন্ন সময় কথা হয়েছে। আমাদের যদি প্রয়োজন হয় উনাকে অফিসিয়ালি চিঠি দিয়ে আবার আসার জন্য বলা হবে। ইতিমধ্যে তিনি নিজেও আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। আশা করছি উনার কাছ থেকে নতুন কিছু তথ্য পাবো। চলতি বছরের গত ৫ই জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন সদর দপ্তরে কর্মরত তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ?মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.