বগুড়ার শেরপুরে গেটকো সিডেসর উদ্ভাবিত হাইব্রিড ফুলকপি স্নোবেবি-৬০ কৃষকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। এই জাতের ফুলকপি কর্তন উপলক্ষে মাঠদিবস গত রবিবার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বড়াইদহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুর রহিম তারার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চীনের বিজ্ঞানী জোও জিং জিয়াং, বিশেষ অতিথি, শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খাজানুর রহমান, কোম্পানির জিএম ফারুক, প্রিন্সিপাল প্লান্ট ব্রিডার খোরশেদ আলম চৌধুরী বাবলা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি ম্যানেজার (সেলস) এসএম হাফিজুর রহমান, নূরুন্নবী তালহা, ইলিয়াস পারভেজ, ম্যানেজার শামীম-আল-মামুন ও কৃষক আব্দুস সালাম। কৃষক আব্দুস সালাম জানান, তিনি প্রায় এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড ফুলকপি স্নোবেবি-৬০ আবাদ করেছিলেন। আগাম জাত হওয়ায় বাজারে দাম ভাল পাওয়া গেছে। রোপণের ষাট দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। প্রতিটি ফুলকপির ওজন এক থেকে দেড় কেজি। ধবধবে সাদা বর্ণের হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকে। ঐ গ্রামের অন্য জাতের ফুলকপি চাষি নাসিম শেখ, আমির হোসেন, আকুল শেখসহ অনেক কৃষক জানান, আব্দুস সালাম গেটকো সিডেসর উদ্ভাবিত হাইব্রিড ফুলকপি স্নোবেবি-৬০ আবাদ করে আমাদের আগেই ফসল বাজারে বিক্রি করতে পেরেছেন। এ কারণে দামও ভাল পেয়েছেন। আগামীতে তারাও এই জাতের কপি আবাদ করবেন বলে জানান। গেটকো সিড্স কোম্পানির প্রিন্সিপাল প্লান্ট ব্রিডার খোরশেদ আলম চৌধুরী বাবলা জানান, হাইব্রিড ফুলকপি স্নোবেবি-৬০ প্রতি একরে ২০ থেকে ২৫ টন পর্যন্ত ফলন দেয়। এই জাতটি টাইট পাতা দ্বারা আবৃত ও আকর্ষণীয় সাদা বর্ণের হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.