যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় থাকা উত্তর মেরু ও আটলান্টিক মহাসাগরের বিশাল অংশজুড়ে তেল-গ্যাস উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত মঙ্গলবার দিন শেষে এ খবর নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ।
তারা এ নিষেধাজ্ঞাকে স্থায়ী অ্যাখ্যা দিলেও এ সিদ্ধান্তের ভাগ্যে পরবর্তী প্রেসিডেন্টের আমলে কী ঘটবে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত নন বিশ্লেষকরা।হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, উত্তর মেরুতে একটি শক্তিশালী, টেকসই এবং স্থিতিশীল অর্থনীতি ও প্রতিবেশ নিশ্চিত করার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লোকজ সংস্কৃতি ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ এবং অপরিশোধিত তেল নির্গমনের হাত থেকে ওই অঞ্চলকে রক্ষা করাও এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য। পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতিশ্রুত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কানাডা সরকারও তাদের জলসীমার অধীন উত্তর মেরু অঞ্চলে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কানাডা অবশ্য তাদের এ নিষেধাজ্ঞা পাঁচ বছর পর পর পর্যালোচনা করবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এটাকে স্থায়ী সিদ্ধান্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিচ্ছেন নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কাছে পরিবেশবাদীদের নানা আশঙ্কা ‘ধাপ্পাবাজি’। এমনকি তিনি তাঁর নতুন মন্ত্রিসভায় এমন দুজনকে জায়গা দিয়েছেন, যাদের অবস্থান পরিবেশবাদী আন্দোলনের বিপক্ষে। তদুপরি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উভয় কক্ষে এখন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানদের আধিপত্য। এমন অবস্থায় ওবামার এ পরিবেশবান্ধব নিষেধাজ্ঞা কত দিন কার্যকর থাকবে, তা নিয়ে পরিবেশবাদীদের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বলতে কিছু নেই। তাদের প্রত্যাশা, ট্রাম্পের সরকার ক্ষমতায় বসেই এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেবে। পরিবেশবাদী সংস্থা ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ বলেছে, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ওবামার সিদ্ধান্ত বাতিলের চেষ্টা করলে তাঁকে আদালতে দাঁড়াতে হবে। ’ সূত্র : বিবিসি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.