ঝিনাইদহ জেলায় বন জঙ্গলের পরিমাণ কমে যাওয়ায় সব ধরনের বন্য প্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে পড়েছিল। এ ছাড়াও মানুষের হাতে বন্য প্রাণী নিধন হতো। যে কারণে এ জেলায় বন্য প্রাণীর সংখ্যা কমে গিয়েছিল। বিগত ৮০-এর দশকের শুরুতে মানুষ নতুন করে বৃক্ষ রোপণে আগ্রহী হয়ে ওঠে। বাণিজ্যিকভাবে ফলদ ও বনজ গাছের বাগান গড়ে তুলছে । ধীরে ধীরে গাছে গাছে ভরে ওঠে গ্রামবাংলা। আর গাছপালা বেশি হওয়ায় পাখিরা দল বেঁধে আবাসস্থল গড়ে তুলছে। হাজার হাজার শালিক ও চড়ুই পাখি সন্ধ্যা নামার আগে এসব আবাসস্থলে এসে আশ্রয় নেয়। ভোরের আলো ফুটে উঠলে আহারে বের হয়। সকাল সন্ধ্যায় পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে মানুষের মন কাড়ে। তবে প্রায় প্রতিবছর কালবৈশাখীর ঝড়ে বিপুল সংখ্যক পাখি মারা যায়। এক সময় ঘুঘুর ডাক শোনা যেত না। অতি শিকারের ফলে ঘুঘু পাখির সংখ্যা কমে গিয়েছিল। নতুন করে ঘুঘু পাখির সংখ্যা বাড়ছে। বুলবুলি, ফিঙে, পেঁচা, টিয়াসহ অন্যান্য পাখির দেখা মেলে গ্রামের রাস্তা দিয়ে চলার সময়। কোনো কোনো গ্রামের পাখির সংখ্যা এত বেড়েছে যে, পাখি গ্রাম বলে পরিচিতি পেয়েছে। শৈলকুপা উপজেলার আশুরহাট গ্রামে শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। পরিচিতি পেয়েছে পাখি গ্রাম বলে। মানুষ পাখিদের খাবারও দেয়।্ শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের কয়েকটি হোটেল প্রতিদিন সকালে পাখির খাবার দেয়। ভোরে ঝাঁকে ঝাঁকে শালিক এসে ভিড় করে। শৈলকুপা শহরের কয়েকটি হোটেলও ভোরে পাখির খাবার দেয়। হাজার হাজার শালিক খাবারের আশায় এসে ভিড় করে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.