ড্র, ড্র আর ড্র। এবারের জাতীয় লিগের প্রথম তিন রাউন্ডের ১২ ম্যাচের ১০টির ফলই ছিল ড্র। তাতে অবশ্য ভালো ব্যাটিং কিংবা নির্বিষ বোলিংয়ের চেয়ে বাজে আবহাওয়ার কৃতিত্বই বেশি ছিল। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য লিগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৭০ দিনের বিরতির পর আবার শুরু হয়েছে দেশের শীর্ষ প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট। আর এবার চতুর্থ রাউন্ডের সবগুলো ম্যাচই দেখল হার-জিত।
পরশু তিন দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় প্রথম স্তরের দুটি ম্যাচ। দ্বিতীয় স্তরের দুটি ম্যাচ শেষ দিনে গড়ালেও শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানে জিতেছে রাজশাহী ও রংপুর। কাল বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সিলেটকে ১৫১ রানে হারিয়েছে রাজশাহী। সিলেটে চট্টগ্রামের বিপক্ষে রংপুরের জয়টা ১০ উইকেটে। চার ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্তরে যৌথভাবে শীর্ষে রাজশাহী ও রংপুর। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্তরে সবার ওপরে খুলনা বিভাগ।
বগুড়ায় জিততে হলে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ দিনে সিলেটকে করতে হতো ৩০২ রান। ৩৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা দলটি চা-বিরতির আগেই অলআউট ১৭৮ রানে। সিলেটের হয়ে একাই লড়েছেন রাজিন সালেহ। নিজের ১৩৬তম প্রথম শ্রেণির ম্যাচে রাজিন উইকেটে আসেন ৬২ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর। দুটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া রাজিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে। তাঁর ১২৬ বলের ইনিংসে চার ১২টি। রাজশাহীর দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব ও সানজামুল ইসলাম নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
সিলেটে ইনিংস হার এড়াতে পারাই চট্টগ্রামের বড় সাফল্য। শেষ দিনে রংপুরকে আবার ব্যাট করাতে ১১৯ রান দরকার ছিল চট্টগ্রামের। ওই রান পেরিয়ে আরও ২৯ রান বেশি করেছে দলটি। ৩০ রানের লক্ষ্যটা ৫.২ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে রংপুর। চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান মনিরুজ্জামান ছাড়া আর সবার রানই ছুঁয়েছে দুই অঙ্ক। সর্বোচ্চ ৫৮ রান পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলীর। এ ছাড়া সমান ৪৩ রান করেছেন দুই অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও ইফতেখার সাজ্জাদ। রংপুরের মিডিয়াম পেসার আরিফুল হক ৩৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
পঞ্চম রাউন্ডের চার ম্যাচ শুরু হবে ২৭ ডিসেম্বর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী-সিলেট, বগুড়া n রাজশাহী: ২০৪ ও ৩৪৪। সিলেট: ২১৯ ও ৬১ ওভারে ১৭৮ (রাজিন ৭৫*, ইমতিয়াজ ৩২, জাকির ২৪; সানজামুল ৩/১৫, সাকলাইন ৩/৪৫, ফরহাদ রেজা ২/৬০)।
ফল: রাজশাহী বিভাগ ১৫১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফরহাদ হোসেন।
চট্টগ্রাম-রংপুর, সিলেট n রংপুর: ৪৫০ ও ৫.২ ওভারে ৩৩/০ (সায়মন ১৮*, লিটন ১২*)। চট্টগ্রাম: ১৮২ ও ৯৯.৩ ওভারে ২৯৭ (ইয়াসির ৫৮, পিনাক ৪৫, সাইফউদ্দিন ৪৩, ইফতেখার ৪৩; আরিফুল ৪/৩৪, সোহরাওয়ার্দী ২/৫০, আলাউদ্দিন ২/৫১)।
ফল: রংপুর ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সোহরাওয়ার্দী শুভ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.