পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের নিন্দা এবং এ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘে মিসরের পেশ করা একটি প্রস্তাবের ওপর গতকাল শুক্রবার রাতে ভোটাভুটি হয়েছে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৪টি। যুক্তরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত ছিল। তবে এ প্রস্তাবের ওপর আগের দিন বৃহস্পতিবার ভোটাভুটির কথা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের আপত্তিতে তা স্থগিত করা হয়েছিল। মিসর ভোট স্থগিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার পর এ নিয়ে সক্রিয় হয় কয়েকটি দেশ। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সেনেগাল ও ভেনেজুয়েলার অনুরোধে গতকাল ভোটের আয়োজন করা হয়। ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের নিন্দা করে তৈরি প্রস্তাবের খসড়া গত বুধবার রাতে নিরাপত্তা পরিষদে বিলি করে মিসর। পরদিন বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ভোটাভুটির কথা জানালেও শেষ মুহূর্তে পিছু হটে দেশটি। তারা প্রস্তাবটি স্থগিত করার আহ্বান জানায়। মিসরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপের পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মিসরের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়, পশ্চিম তীরে অব্যাহত বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ‘দুই রাষ্ট্র গঠন’ পরিকল্পনার পথে বড় বাধা। সে কারণে এই প্রস্তাবে অধিকৃত এলাকায় বসতি স্থাপন পরিকল্পনা বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবে ‘বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সব সহিংস ঘটনার’ নিন্দা জানানো হয়। ইসরায়েল ও তার সমর্থকদের সম্মতি আদায়ের লক্ষ্যেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমালোচনাপূর্ণ এই অনুচ্ছেদ জুড়ে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেন এবং এতে ‘ভেটো’ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। তাঁর সে আবেদনে প্রেসিডেন্ট ওবামা সাড়া না দিলেও হবু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই প্রস্তাবে ‘ভেটো’ দিতে ওবামা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানান, জাতিসংঘের আরোপিত শর্তের মাধ্যমে নয়, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে শান্তি অর্জন সম্ভব। তিনি জানান, এই প্রস্তাব গৃহীত হলে তা ইসরায়েলের জন্য ‘অত্যন্ত অন্যায়’ হবে। পরে টুইটার ও ফেসবুকেও ট্রাম্প মিসরীয় প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করার দাবি জানান। এর আগে একই ধরনের প্রস্তাবে মার্কিন প্রশাসন বারবার ভেটো প্রদান করেছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.