বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, রবিবার মধ্যরাত থেকে নদী অববাহিকায় কুয়াশা পড়তে থাকলে ফেরি, লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচলে বিঘ্ন হয়। রাত সাড়ে বারোটার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে সামনে কিছু দেখতে না পেয়ে মাস্টারগণ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চালানো বন্ধ রাখে। এসময় উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রোরো ফেরি কেরামত আলী, আমানত শাহ, এনায়েতপুরী, খানজাহান আলী, কেটাইপ কুমারী ও ইউটিলিটি শাপলা শালুক ও বনলতা নামে সাতটি ফেরি মাঝ নদীতে নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। ফেরিতে প্রায় দেড় হাজার যাত্রী বোঝাই ৭২টি গাড়ি ছিল। রাত পৌনে তিনটার দিকে কুয়াশা কম দেখে ফেরি ছাড়তে শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত চার ঘন্টা এবং তৃতীয় দফায় সকাল দশটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। তিন দফায় সাড়ে ছয় ঘন্টার বেশি ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়ে আট শতাধিক গাড়ি।
সকালে ঘাটে দেখা যায়, ফেরি ঘাট থেকে দুই কিলোমিটারের বেশি লম্বা দুই সারি কোথাও তিন সারি যাত্রীবাহি বাস, পশুবাহি ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়ি অপেক্ষায় রয়েছে। তিন কিলোমিটার পর থেকে আরো প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা এক সারিতে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী গাড়ি আটকে আছে। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়ার ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, মোট ১৯টি ফেরির মধ্যে দুই মাস ধরে তিনটি বড় ফেরি মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে রয়েছে। এরমধ্যে শাহমখদুম মেরামত শেষে ১০-১১দিন ধরে মাওয়া-কাওড়াকান্দি রুটে চলছে। অপর দুইটি এখনো আসেনি। এই নৌপথে রোরো ফেরি বেশি থাকলে দ্রুত আটকে থাকা গাড়ি পারাপার করা সম্ভব হতো।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.