১২ বছর আগে ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশীয় উপকূলে ৯ দশমিক ১৫ মাত্রার একটি প্রচণ্ড শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভারত মহাসাগরজুড়ে একটি সুনামি ছড়িয়ে পড়ে। এই সুনামিতে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় তা বিশ্বের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। থাইল্যান্ডে ৫ হাজার ৩৯৫ জন মানুষ নিহত হয়। এদের মধ্যে প্রায় দুই হাজারই পর্যটক। “২০০৪ সালের সুনামির পর থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ চার থেকে পাঁচ হাজার স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪শ মৃতদেহ আমরা শনাক্ত করতে পারিনি,” বলেন থাইল্যান্ডের ফাং নগা প্রদেশের টাকুয়া পা জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার আনন্দ বুনকেরকায়েও। থাইল্যান্ডের পর্যটন এলাকাগুলো সুনামিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হলেও তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। সুনামির আঘাতে যেসব হোটেল বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল, সেগুলোর জায়গায় নতুন হোটেল তৈরি হয়েছে। ভরা পর্যটন মওসুমে সেখানে পর্যটকে ছেয়ে গিয়ে আগের মতোই ব্যবসা চলছে। চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ তিন কোটি ২৪ লাখ বিদেশি পর্যটক আসবে বলে আশা করছে দেশটি। সমালোচকরা বলছেন, থাইল্যান্ডের সুনামি সতর্কতা জারির ব্যবস্থা আগের মতোই অপর্যাপ্ত অবস্থায় রয়ে গেছে। এর কারণ হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতার কথাই বলেছেন তারা। অপরদিকে থাই সরকারের দাবি, সতর্কতা জারির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.