‘কেয়ারলেস হুইস্পার’ খ্যাত পপ সুপারস্টার জর্জ মাইকেল আর নেই। ২৫শে ডিসেম্বর ক্রিসমাসের রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় হার্টফেল করে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ারের নিজ বাসায় ৫৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। এদিকে ২০১১ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর ভিয়েনা হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জর্জ মাইকেল। তখন থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। অবশেষে চিরতরে বিদায় নিলেন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এ শিল্পী। জর্জ মাইকেল ছিলেন একাধারে একজন গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। ১৯৬৩ সালের ২৫শে জুন লন্ডনে তার জন্ম। বাবা ছিলেন গ্রিসের নাগরিক। পঞ্চাশের দশকে তার বাবা লন্ডনে চলে আসেন। তার মা ছিলেন একজন বৃটিশ নৃত্যশিল্পী। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি মনোনিবেশ করেন জর্জ। ১৯৮১ সালে পেশাগতভাবে সংগীতে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। অ্যান্ড্রু রিজলির সঙ্গে যৌথভাবে গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘হোয়াম!’। এর মাধ্যমে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দেন জর্জ। এর মধ্যে ১৯৮৪ সালে ‘কেয়ারলেস হুইস্পার’ গান গেয়ে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা লাভ করেন এ শিল্পী। এরপর ১৯৮৬ সালে ব্যান্ড ভেঙে যাওয়ার পর তিনি একক ক্যারিয়ার তৈরি করেন। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘ফেইথ’ সারা বিশ্বে দুই কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়, যা একটি রেকর্ডও বটে। তার প্রকাশিত অন্য অ্যালবামগুলো হলো- লিসেন উইথআউট প্রিজুডিস ভলিউম-১, ফাইভ লাইভ, ওল্ডার, সংস ফ্রম দ্য লাস্ট সেঞ্চুরি, পেশেন্স এবং সিম্ফনিকা। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় গান হলো- কেয়ারলেস হুইস্পার, ফাদার ফিগার, ওয়ান মোর ট্রাই, ফ্রিডম, আই নো ইউ ওয়ার ওয়েটিং, ফাস্টলাভ, এভরিথিং সি ওয়ান্টস, লাস্ট ক্রিসমাস, প্রেয়িং ফর টাইম প্রমুখ। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সারা বিশ্বে শো করেছেন তিনি। গাওয়ার পাশাপাশি ভিন্নধর্মী পারফরম্যান্সের জন্যও বিখ্যাত ছিলেন এ গায়ক। সব মিলিয়ে অনেক কম বয়সে নিজেকে কিংবদন্তিুতে পরিণত করেছিলেন জর্জ মাইকেল। ব্যক্তিগত জীবনে তার অনেক স্ক্যান্ডালের কথা শোনা গেলেও কখনও বিয়ে করেননি তিনি। এদিকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে জর্জ মাইকেলের অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে ১০ কোটিরও বেশি। বিলবোর্ড সর্বকালের সেরা ১০০ গায়কের তালিকায়ও ছিলেন তিনি। সম্মানজনক গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন ৮ বার। আর এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দু’বার। এছাড়া আরো বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন তিনি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.