দ্বিতীয় ওয়ানডের দলে ছিলেন না। তবে হাসপাতালের কাজ শেষ করে মাঠে গিয়েছিলেন। মুশফিকুর রহিম হয়তো তৃতীয় ওয়ানডে আর তিনটি টি-টোয়েন্টির সময়ও মাঠে যাবেন। খুব নাটকীয় কিছু না ঘটলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই। কাল সকালে সাকিব-তামিমরা যখন নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে গেছেন, মুশফিককে তখন যেতে হয়েছে হাসপাতালে। নেলসন হাসপাতালেই তাঁর এমআরআই করানো হয়েছে। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে প্রায় দুই সপ্তাহ লাগবে। যার মানে দাঁড়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ মুশফিকের। নেলসনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি হবে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল দিবাগত ভোররাতে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তিনটি হবে ৩, ৬ ও ৮ জানুয়ারি। ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্ট শুরু ১২ জানুয়ারি। ক্রাইস্টচার্চে গত সোমবার ৭৭ রানে পরাজিত প্রথম ওয়ানডেতে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান মুশফিক। রানআউট থেকে বাঁচতে ডাইভ দিয়েছিলেন। মাঠে প্রাথমিক পরিচর্যার পর উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি। ইনিংস অসমাপ্ত রেখেই ফিরতে হয় ড্রেসিংরুমে। এমআরআই রিপোর্টে মুশফিকের বাঁ হ্যামস্ট্রিংয়ে গ্রেড-১ মাত্রার চোট ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে বিসিবি। ফিজিও ডিন কনওয়ে বলেছেন, ‘রেডিওলজিস্টের রিপোর্ট আমরা হাতে পেয়েছি এবং তাতে দেখা যাচ্ছে তার বাঁ হ্যামস্ট্রিংয়ে একটা টিয়ার আছে। চোট এমনিতে বড় কিছু নয়, তবে এটা পুরোপুরি সারতে চোটের দিন থেকে দুই সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই ও অনুশীলন শুরু করতে পারবে।’ এর আগে যত দ্রুত সম্ভব পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া শুরু হবে। ফিজিও জানিয়েছেন, তাড়াহুড়ো করতে চান না। মুশফিককে টেস্ট সিরিজে ফেরানোটাই মূল লক্ষ্য। তবে পুনর্বাসনে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক কেমন সাড়া দিচ্ছেন, সেটা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.