তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের আনন্দ দিয়েছেন তিনি। কখনো নিয়েছেন চিত্রনাট্যকার কিংবা সংলাপ লেখকের দায়িত্ব, কখনো পালন করেছেন অভিনেতার ভূমিকা। সব রকম অভিনয়ে তিনি সমান পারদর্শী। মূলত নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় দিয়ে ক্যামেরার সামনে কাজ শুরু করলেও ক্রমশ কৌতুকাভিনেতা হিসেবেই সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কিন্তু বলিউডের সেই বিখ্যাত অভিনেতা কাদের খানের বার্ধক্য কাটছে একাকিত্ব ও অবহেলার যন্ত্রণায়। বর্তমানে অশীতিপর কাদের খান এক সময় ভরা সংসারে জীবন যাপন করেছেন। স্ত্রী আজরা খান, এবং তিন পুত্র সরফরাজ, শেহনাওয়াজ, এবং কুদ্দুসের সঙ্গে জীবনের একটা পর্ব কেটেছে কাদেরের। স্ত্রী-পুত্রেরা সকলেই বহাল তবিয়তে রয়েছেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ নেই কাদেরের। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে পরিবারের লোকেরা কাদেরের কোনো খোঁজ খবরই নেন না। যোগাযোগও রাখেন না কোনো। বৃদ্ধ এবং অসুস্থ কাদেরকে সম্পূর্ণভাবে পরিচারকদের ওপর নির্ভরশীল জীবন কাটাতে হচ্ছে। হারিয়েছেন হাঁটা চলার ক্ষমতা। সারাক্ষণ হুইল চেয়ারে বসেই এখন দুর্বিষহ দিন কাটে কাদেরের। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে বলিউডে অভিনয় অনেক দিনই বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিলো কাদের খান অভিনীত শেষ ছবি ‘হো গেয়া দিমাগ কি দহি’। ছবিটির নির্মাতা ফৌজিয়া আর্শি একটি সাক্ষাৎকারে কাদেরের এই করুণ অবস্থার কথা জানান। ফৌজিয়া বলেন, এত বড়মাপের একজন অভিনেতাকে এতখানি অবহেলার মধ্যে নিজের বার্ধক্য কাটাতে হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। তিনশোরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন কাদের খান। চারবার জিতেছেন ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার। তবে বলিউডের সঙ্গে সংযোগ কখনোই একেবারে মুছে ফেলেননি তিনি। ২০১৭-এ রিলিজ হবার কথা ‘হেরা ফেরি থ্রি’। সেই ছবিতে আবার দেখা যাবে কাদের খানকে। অসুস্থতা নিয়েই অনেক কষ্ট করে এ ছবিটির কাজ শেষ করেছেন তিনি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.