অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন শুরু হয়েছে তা থামবে না। এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে।’ আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁয়ে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) কাযালয়ে ‘উন্নয়নে পিকেএসএফ ২০১৬’ শীর্ষ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জামিল চৌধুরী ও ভিয়েতনামের নাগরিক মিস ফাম দি হংকে সম্মাননা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দেশে কাকড়া উৎপাদনে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও রপ্তানিতে অবদান রাখায় পিকেএসএফের পক্ষ থেকে ভিয়েতনামের নাগরিক ফাম দি হংকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। অন্যদিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদানের জন্য জামিল চৌধুরীকে আজীবন সম্মানে ভূষিত করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অথনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। উন্নয়ন ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাদের লক্ষ্য প্রোসপারিটি, হ্যাপি অ্যান্ড পিসফুল বাংলাদেশ। এখন সেই পিসের ওপর হামলা হয়েছে। জঙ্গিবাদ নিধনে সরকারের দৃঢ়তা অব্যাহত থাকবে। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। ২০৪১ সালের প্রজন্ম এখনকার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দেখবে।’
পিকেএসএফ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পিকেএসএফ আমাদের নিজস্ব সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিষ্ঠালগ্নে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এর কাজ শুরু করেছিলাম। এখন দুই শতাধিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি নিম্ন ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক সরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকার আলাদা আইন করে এটি তৈরি করেছিল। প্রথম দিকে রাষ্ট্রায়ত্ত কিংবা বেসরকারি কোনো ব্যাংক সাপোর্ট দেয়নি বরং বিরোধিতা করেছিল। সরকার আলাদা কনস্টিটিউশন করে এটি প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য দাতা সংস্থা অর্থায়নে এগিয়ে আসে।’
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, ‘দেশের ব্যাংকিং খাতে প্রচুর পরিমাণে অলস অর্থ পড়ে আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নানা সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতায় উৎপাদনশীল খাতে ঋণ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। দেশের মোট চাহিদার মধ্যে মাত্র ৪৫ শতাংশ সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া ঋণ গ্রহণের প্রক্রিয়া বেশ জটিল। শুধু তাই নয় সুদের হারও অনেক বেশি। ফলে ব্যাংকিং খাতের তুলনায় বেশি চাহিদা থাকলেও তার চাহিদা পূরণ করা যায় না।’
পিকেএসএফের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জমান বলেন, ‘পিকেএসএফ শুধু ক্ষুদ্র ঋণ নয়, উপযুক্ত অর্থায়নের দিকে নজর দিচ্ছে। যার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই দিচ্ছে। একই সঙ্গে উৎপাদনকারীকে বাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে কাজ করছে। পণ্য বাজারজাত করণে সুযোগ সৃষ্টি করছে।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.