সদ্য শেষ হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে আলোচনার বড় বিষয় ছিল উইকেট। স্পিনারদের জন্য দারুণ এই উইকেটে সুযোগ এসেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের। সিরিজের শেষ টেস্ট কাল থেকে মাঠে গড়াবে ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। গতকাল স্টেডিয়ামে দেখা গেলো বিসিবির প্রধান পিচ কিউরেটর গামিনী ডি সিলভার ব্যস্ত ছুটাছুটি। উইকেট প্রস্তুত কিনা জানতে চাইতেই হাসলেন। বললেন, ‘এখন সবারই এই এক প্রশ্ন। মিরপুরের উইকেট কেমন হবে! আমরা উইকেট প্রস্তুত করছি। তবে তা খেলার দিন সবাই জানতে পারবে এর আগে নয়। চমকটা থাকুক না!’ চট্টগ্রামের মতো স্পিনাররা কি এখানে বাজিমাত করবে? প্রশ্ন করতেই ফের হাসি, এরপর বলেন, ‘সবাইতো চায় নিজের শক্তিতে বিশ্বাস রাখতে। আসলে উইকেট নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। সময় হলেই দেখতে পারবেন।’ তবে দেশীয় এক কিউরেটর জানালেন চাইলেও চট্টগ্রামের উইকেট পাওয়া মিরপুরে সম্ভব হবে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘আসলে এখানেও স্পিন সহায়ক উইকেটই হবে। কিন্তু আমি এটি জোর দিয়েই বলতে পারি চট্টগ্রামের মতো উইকেট হবে না। যদি স্পিন সহায়ক হয় তাহলে এতটাই স্পিনাররা সুযোগ পাবে যে পেসারদের জন্য কিছু থাকবে না। নয়তো এমনও হতে পারে পেসাররা সুবিধা বেশি পেতে পারে।’ শেরে বাংলা মাঠে টেস্টে ১৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪৪টি উইকেট সাকিব আল হাসানের। এরপর ৯ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে আছেন পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীব। ১৩ উইকেট নিয়ে স্পিনার তাইজুল ইসলাম, ১১টি নিয়ে সোহাগ গাজী ও ৭টি নিয়ে ৫ম স্থানে আছেন পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা। এই মাঠে টেস্টের সেরা ৫ বোলারের মধ্যে তিনজনই স্পিনার। এখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক টেস্টের দুই ইনিংসে সাকিবের শিকার ৪টি, রাজ্জাক ৩টি, মাহমুদুল্লাহ একটি ও পেসারদের মধ্যে শুধু মাত্র রুবেল হোসেন একটি উইকেট পেয়েছেন। তাই এখানেও স্পিনারদের আধিপত্য থাকবে তা সহজেই অনুমেয়। তবে গেলো দুটি বছর মিরপুরের উইকেটে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে ওয়ানডে ফরমেটে এখানে সফল হচ্ছেন পেসাররাই। গতকাল সকাল ১০টা থেকে মিরপুর মাঠে অনুশীলন করে ইংল্যান্ড দল। একাডেমির মাঠে লম্বা একটি সময় ধরে তারা ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলনে কাটান। এরই এক ফাঁকে দলের দুই একজন সদস্যকে দেখা যায় মূল মাঠের উইকেটটাকেও দেখে নিতে। উইকেট নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল ইংল্যান্ড থেকে আসা সংবাদ কর্মীদের মাঝেও। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড দল কড়া নিরাপত্তায় ঢাকায় পৌঁছেছে। সারাদিন তারা টিম হোটেলে কাটালেও সন্ধ্যায় তারা ইংল্যান্ড রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে ডিনার করেছে একই সঙ্গে। গতকাল দুই দলই এসেছে অনুশীলনে। বাংলাদেশ দল মাঠে আসে দুপুর দেড়টায়। সেই সময় উইকেটের কাছে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকে। প্রধান কোচ হাথরুসিংহে দুই একবার উইকেট দেখে যান। কথা বলতে দেখা যায় স্বদেশী কিউরেটর গামিনীর সঙ্গে। উইকেট নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখা গেলো সাকিব আল হাসানের মাঝেও। তিনি অনেকটা সময় ধরে উইকেটের পাশে থাকেন ও কথা বলেন নির্বাচক বাশারও কিউরেটর গামিনির সঙ্গে। আর অধিনায়ক মুশফিকতো বেশ ভালোভাবে খোঁজ নিচ্ছেন উইকেটের।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.