অভিষেকের পর থেকেই কাটার দিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করে আসছেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। সম্প্রতি আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া ক্রিকইনফো, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ঘোষিত বর্ষসেরা টি২০ দলেও জায়গা পেয়েছেন এ বাম-হাতি পেসার।
তিনি কেন এতো আলোচিত ও জনপ্রিয় তার প্রমাণ নিউজিল্যান্ড সিরিজে আরও একবার রাখলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষ প্রথম ওয়ানডেতে প্রায় ৫ মাস পর মাঠে নামেন মোস্তাফিজ।
প্রথম ম্যাচে তিনি ১০ ওভারে ৬২ রানে নেন ২ উইকেট। তবে রান দেখে মোস্তাফিজকে বিচার করা যাবে না। কিউইদের ৩৪১ রানের ম্যাচে প্রথম স্পেলে মোস্তাফিজের বোলিং ফিগার ছিল, ৫-০-১৫-১।
প্রথম ওভার করতে এসে মোস্তাফিজ দেন দুই রান, দ্বিতীয় ওভারে পাঁচ, তৃতীয় ওভারে চার রান। তবে ওই ওভারের প্রথম বলেই মার্টিন গাপটিলকে তুলে নেন তিনি। মোস্তাফিজের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে গাপটিল বল আকাশে তুলে দেন, যেটি ধরতে একদম বেগ পেতে হয়নি সৌম্য সরকারের। চতুর্থ ও পঞ্চম ওভারে দেন মাত্র দুই রান করে।
তবে দ্বিতীয় স্পেলে এসে মার খান মোস্তাফিজ। পাঁচ ওভারে দেন ৪৭ রান। এরই মধ্যে শেষ দিকে তুলে নেন শতক করা ল্যাথামের উইকেট।
ফিজিওর পরামর্শে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলেননি ‘কাটার মাস্টার’। তবে শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নেমে বল হাতে আগুন ঝরান মোস্তাফিজ।
প্রথম স্পেলে মোস্তাফিজের বোলিং ৪-২-৬-১, আসলে এখানে থাকা উচিত ছিল ২ উইকেট। পরে আরও দুই স্পেলে বল করেছেন কাটার মাস্টার। তৃতীয়বার বল হাতে এসে ফেরান সেই ব্রুমকে। ৯৭ রান করা ব্রুম ক্যাচ দিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফিকে।
শেষ পর্যন্ত ৯ দশমিক ২ ওভার বল করে দুটি মেডেনসহ ৩২ রান দিয়ে মোস্তাফিজ তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। তিনি মোট ৫৬টি বল করেছেন। যার মধ্যে ৩৯টি বলই ছিল ডট। ১৭টি বল থেকে রানের দেখা পান কিউই ব্যাটসম্যানরা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.